ইংল্যান্ড ও ওয়েলস’র আদালতে বিচারকার্য ৪ বছর পর্যন্ত বিলম্বিত হচ্ছে
করোনাভাইরাস মহামারির দরুণ ইংল্যান্ড ও ওয়েলসের আদালতে মামলার বিচারে অস্বাভাবিক বিলম্ব ঘটছে। এক্ষেত্রে টিনেজারসহ বিবাদী, ভিকটিম ও সাক্ষীদের অপরাধ সংঘটনের সময় থেকে ৪বছর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হচ্ছে। মহামারির সময় যে সব আইনজীবি ইংল্যান্ড ও ওয়েলসের ফৌজদারি আদালতগুলোকে চালু রেখেছেন, তারাও এখন অধিকতর সামাজিক দূরত্বের আহ্বান জানাচ্ছেন।
বিচার সংক্রান্ত সমস্যা মোকাবেলায় চালু রাখা ইমার্জেন্সী আদালতগুলোও মুলতবী করার কথা বলছেন তারা। তারা শত শত আদালত বন্ধ হওয়া ও জজদের বিচারের দিন হ্রাসের জন্য দায়ী বিগত সরকারের অর্থ কর্তনকে দায়ী করে বলেন, এগুলো বিচারের ক্ষেত্রে জটিলতা সৃষ্টি করেছে। সাম্প্রতিক পরিবর্তিত ভাইরাস সম্ভবত: ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থায় চাপ তীব্রতর করছে। বর্তমানে ক্রাউন কোর্টে মামলার সংখ্যা ৫৩ হাজারে পৌঁছেছে। ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে এসংখ্যা ৪ লাখেরও বেশী। এই পরিসংখ্যান গত বছরের তুলনায় ৪০ শতাংশ বেশী।
অবশ্য ব্রিটিশ বিচার মন্ত্রণালয় বলছে, ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতগুলোতে মামলা জট কমতে শুরু করেছে। তারা ৩০টিরও বেশী ইমার্জেন্সী ও নাইটিঙ্গেল কোর্টরুম সৃষ্টি করেছে। স্থাপন করেছে আরো ৪০০টি প্লেক্সিগ্লাস স্ক্রীন।
ইংল্যান্ড ও ওয়েলস্-এর আইনজীবিদের প্রতিনিধিত্বকারী ল’ সোসাইটি’র প্রেসিডেন্ট ডেভিড গ্রীণ বলেন, বছরের পর বছর যাবৎ কম অর্থ বরাদ্দ ও কর্তনের ফলে ফৌজদারি আদালতসমূহে তাৎপর্যপূর্ণ মামলা জট সৃষ্টি হয়েছে, যাকে মহামারি জটিলতর করে তুলেছে। জনৈক সিবিএ মুখপাত্র বলেন, এর মানে হচ্ছে, ভিকটিম, সাক্ষী ও বিবাদীদের মামলাগুলো এখন মাসের পর মাস ধরে ঝুলে আছে, যেগুলো এখন ২০২২ সালের জন্য তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। জামিনের ক্ষেত্রে দীর্ঘতম বিলম্ব হচ্ছে, এতে যৌন অপরাধের মতো মারাত্মক অপরাধে তারা জড়িত হতে পারে। ক্রাউন আদালতে প্রতি সপ্তাহে দেড়শ’টির কম বিচারকার্য হচ্ছে। বহু বিবাদী সম্বলিত কয়েক ডজন মারাত্মক মামলার বিচারের তারিখ পর্যন্ত দেয়া হচ্ছে না।
এইচএম আদালত ও ট্রাইব্যুানাল সার্ভিস-এর জনৈক মুখপাত্র বলেন, ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের মামলা কমতে শুরু করেছে এবং আমাদের ক্রাউন কোর্টগুলো প্রতি সপ্তাহে ২৫০টির ও বেশী জুরি ট্রায়ালসহ হাজারো মামলা তালিকাভুক্ত করছে। আদালতসমূহের ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য আমরা আরো ১১০ মিলিয়ন পাউন্ড বিনিয়োগ করছি। এজন্য ১৬০০ নতুন স্টাফ রিক্রুট করছি এবং আরো বেশী সংখ্যাক নাইটিঙ্গেল কোর্ট চালু করছি।