ট্রাইব্যুনালে মুজাহিদের ফাঁসির রায়
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ বুধবার জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদকে মৃত্যুদণ্ড প্রদান করেছে। আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের বিরুদ্ধে মোট সাতটি অভিযোগ আনা হয়েছিল। এর মধ্যে পাঁচটিতে তাকে দোষীসাব্যস্ত করে মৃত্যুদণ্ড প্রদান করা হয়। পাঁচটি অভিযোগের মধ্যে দুটিতে মৃত্যুদণ্ড, একটিতে যাবজ্জীবন এবং অপর একটি অভিযোগে পাঁচ বছরের সাজা প্রদান করা হয়েছে। একটি অভিযোগের সাজা উল্লেখ করা হয়নি। এছাড়া দুটি অভিযোগ থেকে মুজাহিদকে অব্যাহতি প্রদান করা হয়েছে। মুজাহিদের বিরুদ্ধে সাংবাদিক সিরাজউদ্দিন হোসেন হত্যা, মোহাম্মদপুরের ফিজিক্যাল ট্রেনিং ইনস্টিটিউটে বুদ্ধিজীবী হত্যার পরিকল্পনা ও ষড়যন্ত্র এবং ফরিদপুরের কোতোয়ালি থানার বকচর গ্রামে হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর আক্রমণ ও হত্যার অভিযোগে মৃত্যুদণ্ড প্রদান করা হয়েছে। শহীদ জননী জাহানারা ইমামের ছেলে রুমি, আলতাফ মাহমুদ, বদি, জুয়েল ও আজাদকে নির্যাতন ও হত্যার একটি অভিযোগে যাবজ্জীবন প্রদান করা হয়েছে। ফরিদপুরের রণজিৎ নাথ ওরফে বাবু নাথকে আটক করে নির্যাতনের অপর অভিযোগে পাঁচ বছর সাজা দেয়া হয়েছে। অপর দিকে ফরিদপুরের বৈদ্যডাঙ্গি, মাঝিডাঙ্গি ও বালাডাঙ্গিতে হামলা ও ৫০-৬০ জন হিন্দু সম্প্রদায়ের লোক হত্যার ঘটনা এবং আবু ইউসুফ ওরফে পাখির উপর নির্যাতনের পৃথক দুটি অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। বুধবার জনাকীর্ণ ট্রাইব্যুনাল ভবনে আইনজীবী, পর্যবেক্ষক, দেশি বিদেশী সংবাদ মাধ্যমের বিপুলসংখ্যক সংবাদকর্মীর উপস্থিতিতে ট্রাইব্যুনাল রায় ঘোষণা করেন। ট্রাইব্যুনাল ২০৯ পৃষ্ঠার মূল রায়ের ৩৭ পৃষ্ঠা সামারি রায় পাঠ করেন। প্রথমে ট্রাইব্যুনালের সদস্য বিচারক মো. শাহিনুর ইসলাম, তারপর অপর সদস্য বিচারপতি মুজিবুর রহমান মিয়া এবং সব শেষে বিচারপতি ওবায়দুল হাসান রায়ের মূল অংশ পাঠ করেন।