২কোটি ৩৪ লাখ যাত্রী এয়ারপোর্ট ব্যবহার করেন
২০২০ সালে ইউরোপের সবচেয়ে ব্যস্ত বিমানবন্দর ইস্তান্বুল এয়ারপোর্ট
গত সোমবার ব্লুমবার্গের এক রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২০২০ সালে যাত্রী সংখ্যার দিক দিয়ে ইউরোপের সবচেয়ে ব্যস্ত বিমান বন্দর ছিলো তুরস্কের ইস্তান্বুল এয়ারপোর্ট। গত বছর ২কোটি ৩৪ লাখ যাত্রী সদ্য নির্মিত ইস্তান্বুল এয়ারপোর্ট ব্যবহার করেন। এর পরের স্থানে রয়েছে লন্ডনের হিথ্রো এয়ারপোর্ট (যাত্রী সংখ্যা ২ কোটি ২৩ লাখ) এবং প্যারিসের শার্ল দ্য গল এয়ারপোর্ট।
ইউরোপের সাবেক ব্যস্ততম হিথ্রো এয়ারপোর্ট জানিয়েছে, কভিড-১৯ মহামারির সময় ভ্রমণে বিধিনিষেধের ফলে গত বছর বিমান যাত্রীর সংখ্যা ৭৩ শতাংশ হ্রাস পায়। তাদের কার্গো অর্থাৎ পরিবহণকৃত মালামালের পরিমাণও ২৮ শতাংশ কমে যায়। গত ডিসেম্বর মাসে হিথ্রোতে যাত্রীর সংখ্যা ৮৩ শতাংশ হ্রাস পায়। কভিড-১৯ এর নতুন স্ট্রেনের বিস্তার ভ্রমণকারীদের ব্রিটেন ভ্রমণ থেকে বিরত রাখে। লাখ লাখ যাত্রী তাদের ভ্রমণ বাতিল করতে বাধ্য হন। অপরদিকে, গত বছর তুরস্কের বিমান বন্দরগুলো দিয়ে ট্রানজিট যাত্রীসহ ভ্রমণকারী যাত্রীদের সংখ্যা ৮ কোটি ১৭ লাখে পৌঁছে। দেশটির বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ ইতোপূর্বে এ তথ্য প্রকাশ করে। তুরস্কেও ইস্তান্বুল এয়ারপোর্ট সবচেয়ে ব্যস্ত বিমানবন্দর। গত বছর বিমান বন্দরটি ২ কোটি ৩৪ লাখ যাত্রী সেবার পাশাপাশি ১ লাখ ৫ হাজার ৬৪২টি বিমানকে সেবাদান করে। মহামারির দরুণ মোট যাত্রী সংখ্যা এর আগের বছরের তুলনায় ৬১ শতাংশ হ্রাস পায়। জেনারেল ডিরেক্টরেট অব স্টেট এয়ারপোর্ট অথোরিটি (ডিএইচএমআই) জানায়, বৈশ্বিক ভ্রমণ বিধি নিষেধ, সীমান্ত বন্ধ হওয়া এবং গ্রাহক পর্যায়ে চাহিদার সামগ্রিক পতন এ অবস্থার জন্য দায়ী।
২০২০ সালে অভ্যন্তরীন যাত্রী সংখ্যা ৫০.৩ শতাংশ এবং আন্তর্জাতিক যাত্রী সংখ্যা হ্রাস পায় ৪৯.৭ শতাংশ। একই সময়ে মাত্র ৩ কোটি ২০ লাখ যাত্রী আন্তর্জাতিক ফ্লাইট ব্যবহার করেন। আগের বছরের তুলনায় যাত্রী সংখ্যা হ্রাস পায় ৭১ শতাংশ। তুরস্কের বিমান বন্দরগুলো গত বছর ওভারফ্লাইটসহ ১০ লাখেরও বেশী বিমানকে স্বাগত জানায়, যা ২০১৯ সালে ছিলো ২৩ লাখ।