ডেবেনহ্যামসের সব স্টোর বন্ধ, চাকরি হারাচ্ছে ১২ হাজার কর্মী
সবগুলো স্টোর বন্ধ করে দিচ্ছে যুক্তরাজ্যের ডিপার্টমেন্ট স্টোর চেইন ডেবেনহ্যামস। এতে চাকরি হারাচ্ছে ১২ হাজার কর্মী। মহামারীর আগে থেকেই অনলাইন প্লাটফর্মগুলোর সঙ্গে প্রতিযোগিতায় হিমশিম খাওয়া ডিপার্টমেন্ট স্টোর চেইনটির কার্যক্রম গত মাসে একেবারে থমকে দাঁড়ায়। সোমবার এক বিবৃতিতে ডেবেনহ্যামস জানায়, খুবই দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি যে যুক্তরাজ্যে ডেবেনহ্যামসের সবগুলো স্টোর স্থায়ীভাবে বন্ধ করা হচ্ছে। আগামী কয়েক সপ্তাহ পর্যন্ত স্টোরগুলো তাদের ক্লোজিং কেনাকাটা চালাতে পারবে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কোম্পানির একটি সূত্র বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলছে, এতে ১২ হাজারের মতো কর্মী চাকরি হারাবে।
অষ্টাদশ শতকের শেষের দিকে চালু হওয়া এ ডিপার্টমেন্ট চেইনটির আওতায় ১২৪টি স্টোর রয়েছে। এর মধ্যে কয়েকটি স্টোর বিক্রির আশায় বসে আছে ডেবেনহ্যামস। লকডাউন চলাকালে ওই স্টোরগুলোর কিছু কর্মী সরকারী সহায়তা পেয়েছে। ব্রিটিশ রিটেইল গ্রুপ ফ্রেজারস ডেবেনহ্যামসের কিছু স্টোর কেনার জন্য প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা চালিয়েছিল। তবে এর ফল এখনো জানা যায়নি।
মানুষ এখন অনলাইনে কেনাকাটায় অভ্যস্ত হওয়ায় ইংল্যান্ডের বিভিন্ন ছোট ও বড় শহরে অনেক ডিপার্টমেন্ট স্টোর বন্ধ হয়ে যাবে। কেপিএমজির সর্বশেষ জরিপে দেখা গেছে, করোনাভাইরাস মহামারী শেষ হলে এ খাতে আরও ৪ লাখের মতো কর্মী চাকরি হারাতে পারেন।
গত ক্রিসমাসের আগেই দেওলিয়া হয়ে পড়েছিল ব্রিটেনের বৃহত্তম পোশাক রিটেইলার আর্কেডিয়া। এতে তাদের প্রায় ১৩ হাজার কর্মী চাকরি হারানোর ঝুঁকিতে পড়ে। আর্কেডিয়ার মালিকানায় রয়েছে টপশপ, টপম্যান, ইভানস ও ওয়ালিসের মতো ব্র্যান্ড। ডেবেনহ্যামসের মতো আর্কেডিয়াও নিজেদেরকে শীর্ষ অনলাইন কোম্পানি হিসেবে রূপান্তরে ব্যর্থ হয়েছে।