ব্রিটেনে কভিড ঋণ প্রতারণার দায়ে ৩ ব্যক্তি গ্রেফতার
ব্রিটেনে ৬মিলিয়ন পাউন্ড কভিড ঋণ প্রতারণা তদন্ত কালে ৩ ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ন্যাশনাল ক্রাইম এজেন্সী (এসসিএ) জানিয়েছে, ঐ ৩ ব্যক্তি লন্ডনের একই আর্থিক প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন এবং এই প্রতারণা সংঘটনে তারা তাদের ‘বিশেষ জ্ঞান’কে কাজে লাগায় বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। এনসিএ’র কমপ্লেক্স ফাইন্যান্সিয়েল ক্রাইম টিম তাদের আটক করে।
৩০ বছর বয়সী তৃতীয় ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে তার ক্যামডেনের ঠিকানা থেকে। ব্রিটিশ সরকার গত মে মাসে ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে স্বল্প সুদে দ্রুত ঋণ প্রদানের লক্ষ্যে বাউন্স-ব্যাক লোন স্কীম চালু করে। কোম্পানীসমূহ ২ হাজার পাউন্ড এবং তাদের আয়ের ২৫ শতাংশের মধ্যবর্তী পরিমাণ পর্যন্ত ঋণ গ্রহনের সুবিধা পায়। এক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ঋণের পরিমাণ নির্ধারন করা হয় ৫০ হাজার পাউন্ড।
শর্তানুযায়ী, সরকার ঋণের শতভাগের জামিনদার হয় অর্থাৎ অর্থ-পরিশোধের বিষয়ে দায়িত্ব গ্রহণ করে। এক্ষেত্রে প্রথম ১২ মাসে কোন ধরনের ফী বা সুদ ছিলো না। একবছর পর বার্ষিক সুদের হার ছিলো মাত্র আড়াই শতাংশ। এনসিএ’র মতে, মিথ্যা ডাটা ও ডকুমেন্ট ব্যবহার করে মিথ্যা দাবির মাধ্যমে ৬ মিলিয়ন পাউন্ড হাতিয়ে নেয়া হয়েছে।
প্রতারণার তদন্তকালীন সময়ে এই ৩ সন্দেহভাজনকে রিলিজ দেয়া হয়েছে এবং প্রতারণার ব্যাপারে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে। প্রতারণার সাথে আর কারা জড়িত রয়েছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
লয়েডস ও স্যান্টান্ডার-এর নির্বাহীরা বলেছেন, বাউন্স ব্যাক লোনের প্রায় ১ শতাংশ প্রতারণামূলকভাবে গ্রহণ করা হতে পারে। উল্লেখ্য, ৪৩.৫ বিলিয়ন পাউন্ডেরও বেশী বাউন্স ব্যাক লোন অনুমোদন করা হয় মধ্য ডিসেম্বরে।