হংকংবাসীদের ব্রিটিশ পাসপোর্টের স্বীকৃতি দিবে না চীন
চীন গতকাল শুক্রবার বলেছে, তারা হংকংয়ের বাসিন্দাদের জন্য ব্রিটেনের জাতীয় (বিদেশ) পার্সপোর্টকে আর স্বীকৃতি দিবে না। কারণ ব্রিটেন লক্ষ লক্ষ প্রাক্তন উপনিবেশকে মতবিরোধের বেইজিংয়ের হাত থেকে বাঁচার জন্য একটি উপায় দেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। হংকংয়ে বেইজিংয়ের দমনপীড়নের প্রতিবাদে যুক্তরাজ্য যখন তাদের সাবেক কলোনির বাসিন্দাদের জন্য নিজেদের পাসপোর্ট দেয়ার কথা জানিয়েছে, তখনই চীনের পক্ষ থেকে এমন প্রতিক্রিয়া আসল।
রোববার থেকে হংকংয়ের যেসব নাগরিক বিএন (ও) পাসপোর্টধারী তারা এবং তাদের পোষ্যরা অনলাইনে ব্রিটিশ ভিসার জন্য আবেদন শুরু করতে পারবেন। এর ফলে তারা ব্রিটেনে বসবাস ও কাজকর্ম করতে পারবেন। পাঁচ বছর পর তারা নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করার যোগ্যতা অর্জন করবেন। ব্রিটেনের নতুন এই অভিবাসন প্রকল্পটি গত বছর হংকংয়ে গণতন্ত্রপন্থিদের বিরুদ্ধে চীনের জাতীয় নিরাপত্তা আইন জারি করার সিদ্ধান্তের প্রতিক্রিয়া হিসেবে এসেছে।
১৯৯৭ সালে ব্রিটেন নিজেদের উপনিবেশ হংকংকে চীনের কাছে হস্তান্তরের সময় হংকংকে ৫০ বছরের জন্য কিছু মৌলিক স্বাধীনতা ও স্বায়ত্তশাসন দেয়া হবে এমন শর্ত দিয়েছিল। চুক্তিতে নিজেদের প্রাক্তন উপনিবেশের প্রতি নিজেদের নৈতিক দায়িত্ব বলে উল্লেখ করা হয়েছিল। কিন্তু শুক্রবার চীন আগের সেসব শর্ত রক্ষা করা হবে না বলে প্রকারান্তরে জানিয়ে দেয়।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ান বলেন, ৩১ জানুয়ারি থেকে চীন আর তথাকথিত বিএন (ও) পাসপোর্ট মানবে না। ব্রিটেন যদি বাড়াবাড়ি করে তাহলে চীন আরো কঠিন পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হবে।
কঠিন পদক্ষেপটা কী হবে, সেটা অবশ্য বিস্তারিত বর্ণনা করা হয়নি। তবে এর মধ্য দিয়ে যে চীন-ব্রিটেন সম্পর্ক তিক্ত হতে যাচ্ছে, তা বোঝা যাচ্ছে। হংকংয়ের নাগরিকরা অবশ্য চীন ভ্রমণকালে হংকংয়ের পাসপোর্টই বহন করে থাকে। কেবল বিদেশ ভ্রমণে গেলে তখন বিএন (ও) পাসপোর্ট ব্যবহার করে।