বিশ্বে প্রথম উড়ন্ত গাড়ির বন্দর তৈরি হচ্ছে ব্রিটেনে
যানজট এড়ানোটা লক্ষ্য ছিলই। ‘ফ্লাইং কার’ বানাতে গিয়ে এখন পরিবেশবান্ধব হওয়ার কথাও ভাবতে শুরু করেছে বিভিন্ন দেশ ও গাড়ি প্রস্তুতকারী সংস্থা। বিভিন্ন দেশ বিদ্যুৎচালিত উড়ন্ত গাড়ি তৈরিতে যোগ দিয়েছে। তবে এই প্রথম উড়ন্ত গাড়ির জন্য এয়ারপোর্ট তৈরি হচ্ছে ব্রিটেনে। নভেম্বরেই কভেন্ট্রি শহরে উদ্বোধন হবে সেই এয়ারপোর্টের।
বিশ্বের সব চেয়ে ছোট বিমানবন্দর— তবে বিমান নয়, ওঠা-নামা করবে শুধুই ফ্লাইং কার। কভেন্ট্রি শহরের প্রাণকেন্দ্রে রিকো এরিনা স্টেডিয়াম লাগোয়া একটি পার্কিং লটকে বদলে এটি তৈরি করা হচ্ছে। আবার প্রয়োজন মতো অন্যত্র সরানোর ব্যবস্থাও রয়েছে এই মোবাইল এয়ারপোর্টের। ব্রিটেনের স্টার্ট-আপ সংস্থা ‘আরবান এয়ারপোর্ট’-এর সঙ্গে এই প্রকল্পে শামিল দক্ষিণ কোরিয়ার হুন্ডাই মোটর। ১২ লাখ পাউন্ড সরকারি অনুদানও দেয়া হয়েছে।
স্টার্ট আপ সংস্থাটির দাবি, তারাই প্রথম এই ধরনের সম্পূর্ণ এয়ারপোর্ট আনছে বিশ্বে। নাম, এয়ার-ওয়ান। সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা রিকি সাঁধু সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘সরকারি সাহায্য আর হুন্ডাইয়ের পাশে দাঁড়ানোতেই আমরা আজ এতখানি আত্মবিশ্বাসী।’ যাত্রিবাহী ড্রোন কিংবা পণ্যবাহী ছোট গাড়ি ল্যান্ডিং প্যাড থেকে কী ভাবে ওঠা-নামা করবে, সব ব্যবস্থাই প্রায় তৈরি বলে জানান তিনি।
একটা সময় পর্যন্ত ফ্লাইং কার শুধু কল্পবিজ্ঞানেরই অংশ ছিল। গত বছরই নিজেদের তৈরি উড়ন্ত যানে এক যাত্রীকে নিয়ে সফল পরীক্ষা করেছে জাপানের স্কাইড্রাইভ ইনকর্পোরেশন। ২০২৩-এর মধ্যেই বাজারে এই গাড়ি আনবে বলে জানিয়েছে তারা। স্লোভাকিয়ান একটি সংস্থাও ৩০ বছরের পরিশ্রমে এমন একটি গাড়ি (এয়ারকার) তৈরি করেছে যা চোখের পলকে বদলে যাবে বিমানে। এরই মধ্যে বন্দর-সুখবর এল ব্রিটেন থেকে। পপ-আপ জাতীয় গাড়ি-বন্দর। যাতে থাকবে ছোট রানওয়ে আর ১৪ মিটার ব্যাসার্ধের ল্যান্ডিং প্যাড। গাড়ি আকাশ থেকে নেমে প্যাড ছুঁলেই স্বয়ংক্রিয় ভাবে তা ঢুকে যাবে বন্দরের ভেতরে।