ব্রিটেনের দীর্ঘ সময়ের কভিড রোগী মনে করেন, তিনি কখনো পুরোপুরি আরোগ্য হবেন না
ব্রিটেনের জনৈক কভিড রোগী ১৭৯ দিন ভাইরাস আক্রান্ত থাকার পর সম্প্রতি কিছুটা সেরে ওঠেছেন। তিনি সবচেয়ে দীর্ঘদিন আক্রান্ত থাকার পর সুস্থ হওয়া রোগীদের একজন। তিনি বলেন যে, তিনি সম্পূর্ন সেরে ওঠবেন, তা কখনো বিশ্বাস করেন না। ২ সন্তানের পিতা ৬৩ বছর বয়সী অনিল প্যাটেল করোনা আক্রান্ত হলে হাসপাতালে ভর্তি হন। পরে পূর্বলন্ডনের চ্যাডওয়েল হীথ এলাকায় তার বাসস্থানে থেকে অনেকটা সেরে ওঠেন। তিনি মনে করেন, তার আরোগ্য হতে কমপক্ষে বছর খানেক লাগবে। নভেম্বরে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর তার হাঁটতে কষ্ট হচ্ছে। অনিল বলেন, এটা একটি দু:স্বপ্নের ন্যায়। এ মূহূর্তে আমার অবস্থা খুব খারাপ নয়। আমি হাঁটতে পারছি না তবে অন্তত: বাড়িতে থাকতে পারছি, এটা কম নয়।
যুক্তরাজ্যে প্রায় ৩ লাখ লোকের ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর ৫ থেকে ১২ সপ্তাহ পর্যন্ত উপসর্গ ছিলো। এটা শুধু বয়স্ক লোকজনের ক্ষেত্রে নয়, ১৮ বছরের কম বয়সীদের ক্ষেত্রেও তা দেখা গেছে । জানা গেছে, ২ বছরের একটি কন্যা শিশুও মারাত্মক অসুস্থ অবস্থায় আছে। ৯ মাস আগে সে আক্রান্ত হয়। অনেকে ‘দীর্ঘ কভিড’ নামক কভিডউত্তর উপসর্গে ভুগছেন।
অনিল আরো বলেন, এটা অত্যন্ত ধীর প্রক্রিয়া। আমি মনে করি, আমাকে হয়তো আরো এক বা দেড় বছর অপেক্ষা করতে হবে আমার অধিকাংশ শক্তি ফিরে পেতে। আমি ইতোমধ্যে অনেক ওজন হারিয়েছি। আমি মনে করি না আমি কখনো সম্পূর্ণ আরোগ্য হবো। তবে অবস্থা আরো ভালো হবে। আমি পরিবারের সাথে আছি এবং পরিবারের লোকজন ২৪ ঘন্টা আমার পাশে আছে, এটাই আসল কথা।
গত এপ্রিলে অনিলের দুর্ভোগের সূচনা হয়, যখন তার পা দু’টি শক্তিহীন হয়ে পড়ে এবং তিনি বাসায় ঢলে পড়েন। এ অবস্থায় তার পরিবার অ্যাম্বুলেন্স কল করেন। তিনি কিং জর্জ এবং কুইন্স হাসপাতাল দুটিতে ১৪৯ দিন ভর্তি ছিলেন। এর মধ্যে ৪ মাস ছিলেন ইনটেনসিভ কেয়ারে, গুডমায়েস হসপিটালের একটি এনএইচএস পূনর্বাসন কেন্দ্রে স্থানান্তরের পূর্বে। অনিল ঘরে স্ত্রী দারশি ও ২ মেয়ের কাছে ফিরে আসার পর, লোকজনকে সরকারী স্বাস্থ্য নির্দেশনা মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছেন।