ফারলো স্কীম বর্ধিত করার দাবি ব্রিটিশ ব্যবসায়ী ও ট্রেড ইউনিয়নের
ব্রিটেনের সবচেয়ে প্রভাবশালী ব্যবসায়ী গ্রুপসমূহ এবং ট্রেড ইউনিয়ন আন্দোলন ব্রিটিশ চ্যান্সেলর ঋষি সুনাককে এই বলে সতর্ক করে দিয়েছে যে, ফারলো স্কীমের (কর্মহীনদের সহায়তা প্রকল্প) মেয়াদ বর্ধিত করা না হলে ব্রিটেন ব্যাপক বেকারত্বের মধ্যে নিপতিত হবে।
৩ মার্চের বাজেটের পূর্বে ইন্ডাষ্ট্রির উভয় পক্ষ চ্যান্সেলরকে বলেছে যে, এপ্রিলের শেষে এই মজুরী ভর্তুকির স্কীম শেষ হয়ে যাওয়া অর্থনীতিকে অতিরিক্ত ভঙ্গুর করে তুলবে। টিইউসি’র জেনারেল সেক্রেটারী ফ্রান্সিস ও’গ্রাডি বলেন, সুনাকের উচিত বাজেট পর্যন্ত অপেক্ষা না করে আগামী বছরের শেষ পর্যন্ত ফারলো স্কীম বহাল রাখার ঘোষনা দেয়া- যে স্কীমে ব্রিটিশ ট্রেজারি ৫০ বিলিয়ন পাউন্ড ব্যয় করেছে। ফ্রান্সিস আরো বলেন, সরকারের নৈতিক দায়িত্ব হচ্ছে, আশির দশকের ন্যায় বেকারত্ব ফিরে আসা প্রতিরোধ করা।
ব্রিটিশ চেম্বার অব কর্মাস- এর মহাপরিচালক অ্যাডাম মার্শাল ফারলো স্কীমের মেয়াদ এপ্রিল থেকে জুলাই পর্যন্ত বর্ধিত করার আহবান জানিয়ে বলেন, আমরা কেউ বলতে পারি না যে, যেহেতু ভ্যাকসিন দেয়া শুরু হয়েছে, তা-ই সব কিছু ঠিক হয়ে যাবে। এটা ঘটনা নয়। ব্যবসা গভীর গোলযোগে নিপতিত এবং এখনো ভাইরাস বিস্তৃত হওয়ার আশংকা রয়েছে। এটা শুধু মাত্র একটি টিকা দানের বিষয় নয় এবং এটা ভুলে যান।
বসন্তকালে সরকার কভিড সংক্রান্ত বিধি নিষেধ শিথিলের পরিকল্পনা করছেন এমন সম্ভাবনা সম্পর্কে টিইউসি এবং বিসিসি বলে যে, তিনবার লকডাউনের ফলে অর্থনীতির ক্ষয়ক্ষতি নিরসনে একটি দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা এবং ৩শ’ বছরের জন্য অর্থনীতিতে সর্ববৃহৎ বার্ষিক বিনির্মাণ প্রয়োজন। বাজেটপূর্ব কেন্দ্রীয় দাবিসমূহের মধ্যে সিবিআই-এর ফারলো’র মেয়াদ বর্ধিতকরণ একটি। লবি গ্রুপ- এর চীফ ইকোনোমিস্ট রেইন নিউটন স্মিথ বলেন, এ সম্পর্কে যতে তাড়াতাড়ি সম্ভব ঘোষণা দেয়া আবশ্যক। তিনি বলেন, যদি সরকার আকস্মিকভাবে ফারলো স্কীম বন্ধ করে দেয়, তবে এটা নিশ্চিতভাবে চাকুরীর সিদ্ধান্ত সমূহের ওপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলবে, তখন দিগন্তের দিকে আশা নিয়ে শুধু তাকিয়ে থাকতে হবে আমাদের। গত বছর সূচিত ফারলো স্কীমের আওতায় প্রায় ১ কোটি চাকুরীতে সহায়তা দিয়েছে ব্রিটিশ সরকার।