অর্থনৈতিক সংকট মোকাবেলার আহবান ব্রিটিশ সিবিআই মহাপরিচালকের
ব্রিটিশ সিবিআই- এর প্রধান বলেছেন কভিড-১৯ মহামারি কাটিয়ে ওঠতে ব্রিটেনের প্রয়োজন একটি কৌশল, যা হবে আগামী দশকগুলোর জন্য। আর তা হবে ১৯৪৫ সালের যুদ্ধোত্তর উচ্চাশার সাথে সংগতিপূর্ণ। ব্যবসায়ী গ্রুপ সিবিআই- এর নতুন মহাপরিচালক হিসেবে প্রথম প্রদত্ত মূল বক্তব্যে টনি ড্যাংকার বলেন, ব্রেক্সিটের তিনটি আঘাত, করোনাভাইরাস এবং জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে এক দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করতে হবে ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান ও সরকারকে।
তিনি আরো বলেন, ১৯৪৫ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে বিপর্যস্ত ব্রিটেনের অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে লেবার পার্টির সরকার যেভাবে কাজ করেছিলো এবং ২০০৮ সালের অর্থনৈতিক সংকট উত্তরণে যেভাবে কাজ করা হয়েছিলো, সেভাবে একটি পাল্টা লড়াইয়ের পরিকল্পনা নিয়ে সরকার, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও ট্রেড ইউনিয়নগুলোকে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে।
তিনি বলেন, আমি বিশ্বাস করি, আমাদেরকে অবশ্যই সম্মিলিতভাবে এগিয়ে আসতে হবে একটি উত্তম দশক সৃষ্টিতে। যা হবে ১৯৪৫ এবং ২০০৮ সালের চেয়েও ভালো। ড্যাংকার সতর্কবাণী উচ্চারণ করে বলেন, যুক্তরাজ্য ২০০৮ সালের ব্যাংকিং সংকট থেকে ভালোভাবে উত্তরণে ব্যর্থ হয়েছে। যুক্তরাজ্য যখন একটি অধিকতর বিভক্ত দেশ, তখন উৎপাদনশীলতা ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি মুখ থুবড়ে পড়েছে। তিনি ২০২০ এর দশকের জন্য একটি অধিক সুষ্ঠু ও পরিবেশবান্ধব অর্থনীতি গড়ে তুলতে দূরদর্শী দৃষ্টিভঙ্গী, পরিকল্পনা ও জনমত প্রয়োজন বলে উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, ব্রেক্সিট, কভিড এবং জলবায়ু সংক্রান্ত বিষয় মোকাবেলায় যুদ্ধোত্তর সময়ের মতোই একই ধরনের ঐক্য ও দূরদর্শিতা প্রয়োজন। উল্লেখ্য, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষে, যুদ্ধপরবর্তী পুনর্গঠনের ফল হচ্ছে এনএইচএস এবং কল্যাণ রাষ্ট্র সৃষ্টি।
সম্প্রতি ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের সরকার কর্তৃক এই বসন্তে লকডাউনের বিধি নিষেধ শিথিলের পরিকল্পনা এবং ৩শ’ বছরেরও অধিক সময়ের সবচেয়ে গভীর মন্দা থেকে অর্থনীতিকে পুনরুদ্ধারের পরিকল্পনা গ্রহনের প্রেক্ষাপটে ড্যাংকারের এই প্রথম বক্তব্য এসেছে। ইতোমধ্যে ব্যবসায় নেতৃবৃন্দ ও ইউনিয়নগুলো কমপক্ষে গ্রীষ্মকাল পর্যন্ত ফারলো স্কীমের মেয়াদ বৃদ্ধির আহ্বান জানিয়েছেন।