৬০ লাখ ‘গুপ্ত’ রোগী এনএইচএস’র ওয়েটিং লিস্ট সয়লাব করতে পারে
চলতি বছর ৬০ লাখ ‘লুক্কায়িত’ রোগী এনএইচএস- এর ওয়েটিং লিস্ট অর্থ্যাৎ অপেক্ষমাণ রোগীদের তালিকাকে সয়লাব করে দিতে পারে। গত এক দশকেরও বেশী সময়ের মধ্যে এনএইচএস- এর চিকিৎসা প্রার্থী রোগীদের এমন জট আর কখনো লক্ষ্য করা যায়নি। সম্প্রতি স্বাস্থ্য বিষয়ক প্রধানরা এই মর্মে সতর্কবাণী উচ্চারন করেছেন। এক্ষেত্রে তারা অপেক্ষমাণ সময়সীমার লক্ষ্যমাত্রা স্থগিতের আহ্বান জানিয়েছেন।
‘এনএইচএস করফেডারেশন’ এর প্রধান মিঃ মার্টিমার বলেন, অপেক্ষমাণ তালিকার অবস্থান পুনরুদ্ধার করতে অর্থ্যাৎ আমাদের প্রত্যাশিত অবস্থায় পৌঁছতে অনেক বছর অপেক্ষা করতে হবে। এসব সমস্যা সমাধানে যে সময় লাগবে সে ব্যাপারে আমাদেরকে বাস্তববাদী হতে হবে এবং সরকারকে এ ব্যাপারে বাস্তববাদী হতে হবে, তারা এ সপ্তাহের বাজেটে এসব সমস্যার প্রকৃত সমাধানে এনএইচএস-কে প্রয়োজনীয় অর্থ প্রদান করছে কি-না।
এনএইচএস কনফেডারেশন এর প্রধান মিঃ মার্টিমার আরো বলেন, সরকারকে এসবের পরিণতি কী তা ব্যাখ্যা করার দায়িত্ব নিতে হবে। চ্যান্সেলর ঋষি সুনাক শুধুমাত্র অর্ধেক কাজ সম্পন্ন করেছেন। তিনি দীর্ঘমেয়াদী কভিড মহামারি সামাল দিচ্ছেন। কিন্তু মানসিক সমস্যা মাথাচাড়া দিচ্ছে। গনস্বাস্থ্য ও সোশ্যাল কেয়ার মোকাবেলায় বিনিয়োগ হচ্ছে কাজের অপর অর্ধেক এবং চ্যান্সেলর এখন পর্যন্ত এটা এড়িয়ে গেছেন।
এনএইচএস- এর পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত বছর প্রায় ৫০ লাখ ৯০ হাজার কম রোগী কেয়ারের জন্য রেকর্ড হয়েছে, যা ২০১৯ সালের তুলনায় ৩০ শতাংশ কম। এসব গুপ্ত বা লুক্কায়িত রোগীর এখনো চিকিৎসা প্রয়োজন। কিন্তু তাদেরকে এনএইচএস’র অপেক্ষমাণ সময়ের কোন অফিশিয়েল তালিকায় দেখা যাচ্ছে না।
২০২১ সালে এনএইচএস- এর কর্মকান্ডের বাস্তবতার ভিত্তিতে বলা যায়, এসব রোগীর দুই তৃতীয়াংশ অপেক্ষমাণ তালিকায় যুক্ত হতে পারে। এতে মোট সংখ্যা গত বছরের ডিসেম্বরের ৪৬ লাখ থেকে চলতি সনের অক্টোবরে ৮০ লাখে পৌঁছতে পারে।
গত ডিসেম্বরে এই সংখ্যা ৪৬ লাখে পৌঁছে, যা গত ১২ বছরের মধ্যে অপেক্ষমাণদের সবচেয়ে দীর্ঘ তালিকা। রোগীদের এক পঞ্চমাংশ ৬ মাসেরও বেশী সময় অপেক্ষা করেন, যখন ১৫ লাখ রোগী অর্থ্যাৎ প্রায় এক তৃতীয়াংশকে ১৮ সপ্তাহেরও বেশী সময়ের জন্য অপেক্ষমাণ থাকতে হয়েছে। সর্বমোট ২২৫০০০ রোগী ডিসেম্বর পর্যন্ত ১ বছরেরও বেশী সময় যাবৎ অপেক্ষা করেন। আর এ সংখ্যা আগামী মাসগুলোতে আরো উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধির আশংকা রয়েছে।