২০২০ সালে যুক্তরাজ্যের পণ্য রফতানি হ্রাস পায় ৫৪ বিলিয়ন পাউন্ড
এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, যুক্তরাজ্যের রফতানী ১৪ দশমিক ৭ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে, যা একটি বড়ো দেশের জন্য বড়ো ধরনের রফতানী পতন। নতুন গবেষণায় প্রকাশ, কভিড-১৯ এর দরুন বৈশ্বিক ব্যবসা বানিজ্য ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় প্রতিদ্বন্দ্বী দেশসমূহের সাথে পাল্লা দিতে গিয়ে ২০২০ সালে ৫৪ বিলিয়ন পাউন্ডের পণ্য রফতানী হ্রাস পায়।
এতে আরো দেখা গেছে, অন্যান্য দেশ যখন প্রধান রফতানী গন্তব্যস্থলসমূহের বাজার দখল করছে তখন যুক্তরাজ্য এক্ষেত্রে ধীরে ধীরে রফতানী বাজার পুনরুদ্ধার করছে। ‘অ্যাস্টন ইউনিভার্সিটি’র সেন্টার ফর বিজনেস প্রসপারিটি-এর গবেষকরা বলেন, ব্রেক্সিটউত্তর চ্যালেঞ্জ সমূহ মহামারি থেকে যে কোন উদ্ধারকে লাইনচ্যুত করতে পারে। এটা আগেই ধারনা করা হয়েছিলো যে, কভিড, ব্রেক্সিট এবং যুক্তরাজ্যের দীর্ঘমেয়াদী উৎপাদন সংক্রান্ত চ্যালেঞ্জগুলো সম্মিলিতভাবে ব্রিটিশ ব্যবসা-বানিজ্যকে অদূর ভবিষ্যতে একটি বিরূপ পরিস্থিতিতে ফেলতে পারে। মহামারির কারনে অর্থনীতি বিপর্যস্ত হওয়ায় বিশ্বব্যাপী গত বছর গাড়ি, তেল ও গ্যাস, মেশিনারি এবং ঔষধপত্রসহ সকল রফতানীই হোঁচট খায়।
লয়েড ব্যাংকিং গ্রুপ- এর উদ্যোগে পরিচালিত এই সেন্টার আরো জানায় যে, স্বর্ণের ব্যাপক আগমন ও নির্গমন ছাড়াই এধরনের ক্ষতিকর প্রভাব এমনকি আরো খারাপ হতে পারে। প্রতিবেদন প্রস্তুতকারীরা বলেন, ব্রেক্সিটউত্তর অধিকতর পতন এড়াতে যুক্তরাজ্যের উচিত এর কেন্দ্রীয় লক্ষ্য হিসেবে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করা।
অ্যাস্টন বিজনেস স্কুলের অর্থনীতির অধ্যাপক জুন ডু বলেন, যুক্তরাজ্যের ব্যবসা-বানিজ্যের নেতিবাচক তৎপরতার মৌলিক কারনগুলো ব্যবসা বানিজ্যের সীমানা অতিক্রম করে গেছে। আমাদের বিশ্লেষন বলছে যে, উৎপাদন প্রবৃদ্ধির ক্ষেত্রে দীর্ঘকালীন স্থবিরতা যুক্তরাজ্যের অর্থনীতির প্রতিযোগীতা ক্ষমতা বিপর্যয়ের প্রধান কারণ।
গবেষকদের মতে, ২০০৮ সালের আর্থিক সংকটের তুলনায় ২০২০ সালের মহামারি জনিত আর্থিক বিপর্যয় অনেক বেশী মারাত্মক। ২০০৮ সালের সংকটকালে ব্যবসা বানিজ্য এতোটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি, যা হয়েছে মহামারির দরুন গত বছর।
তারা ব্যাখ্যা করে আরো বলেন যে, বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসের দরুন যুক্তরাজ্যের শীর্ষ পন্যসামগ্রীর রফতানী মারাত্মকভাবে হ্রাস পেয়েছে। আর এই হ্রাস ঘটেছে দেশটির প্রায় সকল রফতানীর গন্তব্য অর্থ্যাৎ দেশগুলোতে।