জরীপে প্রকাশ
যুক্তরাজ্যের প্রায় সকল তরুণী যৌন হয়রানির শিকার
সম্প্রতি ইউএন উইমেন ইউকে পরিচালিত এক জরীপে দেখা গেছে, নীতিগতভাবে যুক্তরাজ্যের প্রায় সকল তরুণী নারী যৌন হয়রানির শিকার। আর এক্ষেত্রে সতর্কবাণী হচ্ছে যে, অধিকাংশ নারী এধরনের নিপীড়ন মোকাবেলা করা হবে বলে বিশ্বাস হারিয়েছেন।
১৮ থেকে ২৪ বছয় বয়সী নারীদের ৯৭ শতাংশ জানান, তারা যৌন হয়রানির শিকার হয়েছেন। অপরদিকে সকল বয়সের নারীদের ৮০ শতাংশ বলেন, তারা জনসমাগমের স্থানে যৌন হয়রানির শিকার হয়েছেন। ইউএন উইমেন ইউকে এর নির্বাহী পরিচালক ক্লেয়ার বারনেট বলেন, এটা একটি মানবিক সংকট। এক্ষেত্রে আমাদেরকে শুধু একথা বলে ক্ষান্ত হলে চলবে না যে, সমাধানের জন্য এটা অতিশয় কঠিন একটি সমস্যা। এখনই এর সমাধান প্রয়োজন। তিনি আরো বলেন, আমরা এমন একটি পরিস্থিতি চাই, যেখানে তরুণী নারীরা আক্রান্ত হওয়া এড়ানোর প্রচেষ্টা হিসেবে অব্যাহতভাবে তাদের আচরণ সংশোধন বা পরিবর্তন করবে এবং বেশী বয়সের নারীরা যদি রাতের অন্ধকার ঘরের বাইরে বের হন, তবে ব্যক্তিগত নিরাপত্তার বিষয়ে মারাত্মক উদ্বেগের বিষয়টি রিপোর্ট করবেন- এমনকি শীতকালে দিনের বেলা হলেও তা করবেন।
১ হাজারেরও বেশী নারীর ওপর ইউগভ-এর জরীপে দেখা গেছে, যুক্তরাজ্য কর্তৃপক্ষসমূহের অভিপ্রায়ের বিষয়ে এবং যৌন হয়রানি মোকাবেলায় তাদের সক্ষমতা বিষয়ে জরীপে অংশকারীদের আস্থার মারাত্মক ঘাটতি রয়েছে। দেখা গেছে ৯৬ শতাংশ উত্তরদাতা ঘটনার রিপোর্ট করেননি অর্থাৎ ব্যাপারটি জানাননি। ৪৫ শতাংশ বলেন যে, এতে কোন ফায়দা নেই।
ইউএন উইমেন ইউকে বলেছে, ঐসব মহিলা যারা রিপোর্ট করার মতো বিষয়টি গুরুতর নয় বলেছেন, তারাও হাতড়ানো, অনুসরণ এবং যৌন কর্মাকন্ডে জোরজবরদস্তীর শিকার হয়েছেন।
ইউএন উইমেন ইউকে-এর অংশ হিসেবে, ‘সেইফ স্পেসেজ নাউ’ প্রকল্পটি ৪০০ নারীর কাহিনী সংগ্রহ করেছে এবং নেতৃবৃন্দের কাছে একটি খোলা চিঠিতে উত্তমরূপে পরিকল্পিত পাবলিক স্পেস, উন্নত রিপোর্টিং সিস্টেম এবং শিক্ষার জন্য আহ্বান জানিয়েছে।
এভরিডে সেক্সিজম প্রোজেক্ট-এর প্রতিষ্ঠাতা লোরা বেইটস্ বলেন যে, তার সংগঠন দেখতে পেয়েছে, ৫২ শতাংশ নারী কর্মস্থলে যৌন হয়রানির শিকার হয়েছেন এবং প্রতি ৫জনের ১জন মাত্র এ ব্যাপারে রিপোর্ট অর্থাৎ অভিযোগ করেছেন। তিন চতুর্থাংশ বলেছেন, এতে কোন পরিবর্তন হয়নি। আর ১৬ শতাংশ বলেছেন, রিপোর্টিংয়ের ফলে তাদের সাথে আরো দুর্ব্যবহার করা হয়েছে।