নাইটিঙ্গেল হসপিটালগুলো বন্ধ হচ্ছে, ব্রিটিশ করদাতাদের শত শত মিলিয়ন পাউন্ড ব্যয়
চলতি মাসের শেষ দিকে ইংল্যান্ডের ৪টি নাইটিঙ্গেল হসপিটাল স্থায়ীভাবে বন্ধ হয়ে যাবে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে ব্রিটিশ করদাতাদের শত শত মিলিয়ন পাউন্ড ব্যয় শেষে এটা বন্ধ করে দিতে হচ্ছে। অবশ্য লন্ডন ও স্যান্ডারল্যান্ডে ৩টি ইমার্জেন্সী ফিল্ড হসপিটাল খোলা থাকবে, যেগুলো গণভ্যাকসিনেশন সেন্টার হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছ। এক্সেটার- এ ১১৬ শয্যার হাসপাতাল ডায়াগনোস্টিক টেস্টের জন্য ব্যবহৃত হবে এবং চিকিৎসাক্ষেত্রে জট কাটাতে সহায়তার লক্ষ্যে অধিকতর রুটিন কেয়ার পরিচালনায় হাসপাতালগুলোকে সাহায্য করতে তা রূপান্তরিত করা হতে পারে।
বার্মিংহাম, ব্রিস্টল, হ্যারোগেট ও মানচেষ্টারের বাকী ৪টি হসপিটাল কয়েক সপ্তাহের মধ্যে চিরতরে বন্ধ হয়ে যাবে। নাইটেঙ্গেল হাসপাতালসমূহ গত বছর মহামারির শুরুতে ৫০০ মিলিয়ন পাউন্ড ব্যয়ে চালু করা হয়। রোগীদের সংখ্যা বৃদ্ধির পূর্বাভাস থেকে পরিস্থিতি সামাল দিতে এগুলো চালু করা হয়।
জানা গেছে, বাজেটে এ মাসের পর থেকে কোন অর্থ লভ্য না হওয়ায় ১ এপ্রিল থেকে এগুলো স্থবির হয়ে যাচ্ছে। প্রকৃতপক্ষে, এসব হাসপাতাল খুব কমই ব্যবহৃত হয়েছে। মহামারির প্রথম দফায়, সংক্রমণ যখন তীব্র তখন পূর্বলন্ডনের এক্সসেল কনফারেন্স সেন্টারে স্থাপিত লন্ডনের নাইটিঙ্গেল হসপিটালটিতে মাত্র ৫৪ জন রোগী ভর্তি হয়। হাসপাতালটি ৬৪ শয্যার একটি নন-কভিড পূনর্বাসন কেন্দ্র হিসাবে চালু করা হয়। তবে লন্ডনের হাসপাতালগুলো থেকে রোগী পেতে ব্যর্থ হয়।
অন্যান্য কিছু অস্থায়ী হাসপাতাল কখনো রোগী পায়নি কিংবা ভালো হয়ে বাড়িতে ফিরে যেতে প্রায় প্রস্তুত এমন কিছু সেরে ওঠা রোগীদের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়েছে এগুলো। নাইটিঙ্গেল হাসপাতালগুলোর বড়ো সমস্যাগুলোর একটি ছিলো জনবলের অভাব অনুধাবনে ব্যর্থতা, যখন অনেক স্থায়ী হাসপাতাল ভাইরাস সংক্রমণের প্রতিটি ধাপে বৃদ্ধিপ্রাপ্ত রোগীর চিকিৎসায় খাপ খাওয়াতে স্টাফদের রিলিজ করতে বা ছেড়ে দিতে অক্ষম ছিলো।
কিছু স্বাস্থ্য বিষয়ক নেতৃস্থানীয় ব্যক্তি লন্ডনের নাইটিঙ্গেল হসপিটালকে একটি ব্যর্থতা বলে আখ্যায়িত করেন, যখন এনএইচএস ইংল্যান্ড- এর লন্ডন অঞ্চল নগরীর প্রত্যেক এলাকাকে সেখানে কাজের জন্য স্টাফ সরবরাহের অনুরোধ জানায়। এমন এক সময় এ অনুরোধ জানানো হয়, যখন অনেক ট্রাস্ট গ্যাপ বা শূন্যতা পূরণের জন্য অতিরিক্ত শিফটে কাজ করতে স্টাফদের আহবান জানাচ্ছিলো।
নর্থইস্ট ফাউন্ডেশন ট্রাস্ট পরিচালিত নতুন কেন্দ্রটি হাসপাতালগুলো থেকে ব্যর্থতার সম্মুখীন হয়। তখন রোগীদের রিলিজ দেয়ার বিষয়ে অত্যন্ত কড়াকড়ি ছিলো। ফলে এনএইচএস ট্রাস্টকে সাহায্য করতে শয্যা ছেড়ে দিতে পারেনি এটা। জানুয়ারীতে মহামারি যখন তুঙ্গে, তখন যুক্তরাজ্যের হাসপাতালসমূহে প্রায় ৪০ হাজার রোগী ছিলো।