৬৫০ মিলিয়ন পাউন্ড ব্যয় সত্বেও হোম অফিসের ডিএসএবি প্রকল্প ভেস্তে গেছে

হাসনাত চৌধুরী(লন্ডন): ব্রিটেনের বোর্ডার সিকিউরিটি প্রোজেক্ট বিপুল অর্থ ব্যয় সত্বেও এর কাঙ্খিত লক্ষ্য অর্জনে ব্যর্থ হয়েছে। যুক্তরাজ্যের বোর্ডার সিকিউরিটির জন্য গৃহীত এই কর্মসূচী চালু হতে কমপক্ষে ৩ বছর বিলম্বিত হয়েছে। এ অবস্থায় এটা কাঙ্খিত সংখ্যক যাত্রী পেতে সক্ষম হবে না বলে সংশ্লিষ্ট মহলের শংকা।
একটি ওয়েস্টমিনিস্টার স্পেন্ডিং ওয়াচডগ হোম অফিসের এই ডিজিটাল প্রোগ্রাম ২০ বছরের মতো পিছিয়ে গেছে যা করদাতা কিংবা বোর্ডার সিকিউরিটির দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছে। ২০১৯ সালে প্রাথমিকভাবে চালু হলেও, এ পর্যন্ত প্রত্যাশিত ৭ হাজার বোর্ডার স্টাফের মধ্যে মাত্র ৩০০ জন এটা ব্যবহার করেছেন। ২০২২ সালের মার্চের আগে পূর্ণভাবে এটা চালু হওয়ার সম্ভাবনা নেই। হাউস অব কমন্সের পাবলিক একাউন্টস কমিটি এমন অভিমত ব্যক্ত করেছে।
বিভিন্ন দলের সমন্বয়ে গঠিত এই কমিটি প্রীতি প্যাটেলের ডিপার্টমেন্টের ব্যাপারে প্রদত্ত এক কঠোর রায়ে এই মর্মে মন্তব্য করেছে যে, প্রযুক্তি কর্মসূচী সরবরাহে হোম অফিসের রেকর্ড ‘দুর্বল’। এছাড়া ইমার্জেন্সী সার্ভিস নেটওয়ার্ক নামক অপর একটি প্রকল্পও ৬ বছর বিলম্বিত হয়েছে এবং এতে করদাতাদের বার্ষিক ৬৫০ মিলিয়ন পাউন্ড গচ্ছা দিতে হয়েছে।
ইতোপূর্বে গৃহীত একটি ই-বোর্ডারস প্রোগ্রামে ৩৪০ মিলিয়ন পাউন্ড ক্ষয়ক্ষতির পর ডিএসএবি ইতোমধ্যে করদাতাদের ১৭৩ মিলিয়ন পাউন্ড ক্ষতির সম্মুখীন করেছে। ৮ বছরের উন্নয়নের পর কাজে না আসায় ২০১১ সালে ই-বোর্ডারস প্রকল্পটি বাতিল করা হয়। ২০১৪ সালে ডিজিটাল সার্ভিস অ্যাট দ্য বোর্ডার (ডিএসএবি) প্রকল্পটি শুরু হয়। বাজেট রাখা হয় ১৯৯ মিলিয়ন পাউন্ড। লক্ষ্য ছিলো ২০১৯ সালের মধ্যে একটি ডিজিটাল বোর্ডার কন্ট্রোল সিস্টেম চালু। পরে এটাকে পুনঃস্থাপন করে হোম অফিস। সময় বৃদ্ধি করা হয় ৩ বছর এবং ব্যয় বাড়ানো হয় আরো ১৭৩ মিলিয়ন পাউন্ড। কিন্তু সবই বিফলে গেছে। বোর্ডার সিকিউরিটি স্টাফদের এখনো কমপক্ষে ১৫ বছরের পুরোনো সিস্টেমই ব্যবহার করতে হচ্ছে। এই মান্দাতা আমলের পদ্ধতিটি অত্যন্ত ব্যয়বহুল, পরিচালনা কঠিন এবং ভবিষ্যত প্রয়োজনে আনফিট অথ্যাৎ অনুপযুক্ত বলে বিবেচিত।
উল্লেখ্য, প্রতি বছর যুক্তরাজ্যের ৫৬ টি এন্ট্রি পয়েন্ট দিয়ে আসা ১৪০ মিলিয়ন যাত্রী ডিজিটাল সার্ভিসেজ অ্যাট বোর্ডার (ডিএসএবি) ব্যবহার করবে বলে প্রত্যাশা করা হয়েছিলো, যা জনগনকে সন্ত্রাস, অপরাধ, অবৈধ অভিবাসন ও পাচার থেকে রক্ষায় জাতীয় নিরাপত্তার লক্ষ্য পূরণে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হয়েছিলো।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button