ব্রিটিশ নাগরিকত্ব হারাতে পারেন বাশারপত্নী
সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের স্ত্রী আসমা আল-আসাদের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে ব্রিটিশ পুলিশ। সিরিয়ায় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে উস্কানি ও উৎসাহ দেওয়ার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে এই তদন্ত শুরু হয়েছে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট বাশারের স্ত্রী আসমা আল আসাদ যুক্তরাজ্য ও সিরিয়ায় দ্বৈত নাগরিক। পুলিশি তদন্তে দোষী প্রমাণিত হলে যুক্তরাজ্যের নাগরিকত্ব হারাতে পারেন তিনি।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম স্কাই নিউজকে রোববার (১৪ মার্চ) মেট্রোপলিটন পুলিশ জানিয়েছে, গত জুলাই মাসে সিরিয়ায় চলমান সংকটের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কিছু তথ্য হাতে পেয়েছেন তারা। এখন সেই তথ্যগুলো পুলিশের যুদ্ধাপরাধ তদন্ত ইউনিট খতিয়ে দেখছে।
আসমা আল-আসাদের বিরুদ্ধে সিরিয়ায় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে উস্কানি দেওয়ার অভিযোগটি এনেছে সংকট ও সংঘর্ষপীড়িত মানুষের ন্যায়বিচার নিশ্চিতে কাজ করা আন্তর্জাতিক আইন প্রতিষ্ঠান গুয়ের্নিকা ৩৭। প্রতিষ্ঠানটি মানুষের মৌলিক অধিকার রক্ষায়ও কাজ করে থাকে।
গণমাধ্যমের খবরে বলা হচ্ছে, আসমা আল আসাদ যুক্তরাজ্য ও সিরিয়ার দ্বৈত নাগরিক। যুক্তরাজ্যের যুদ্ধাপরাধ বিভাগ তার বিষয়টি আমলে নিয়েছে এবং তাকে জিজ্ঞসাবাদ করতে যাচ্ছে। তিনি যদি তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হন, তবে তার ব্রিটিশ নাগরিকত্ব বাতিল হয়ে যেতে পারে।
ক্যাডমান এক বিবৃতিতে বলেন, কোন দেশের শীর্ষ পর্যায়ের কারো বিরুদ্ধে এ ধরনের অ্যাকশন নেওয়া অনেক দুঃসাহসিকতার কাজ। কিন্তু তাদেরকে আইনের আওতায় আনতে পারলে, অন্যায় বন্ধ করা সম্ভব। অন্যথায় মানুষ নির্যাতিত হতেই থাকবে।
উল্লেখ্য, সিরিয়ায় যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত মারা গেছেন কয়েক লাখ মানুষ। এদের মধ্যে ৮৮ হাজারই বেসামরিক নাগরিক। নিহতদের মধ্যে রয়েছে ১০ হাজারের বেশি নিষ্পাপ শিশু। এছাড়া যুদ্ধের কারণে এখনও নিখোঁজ রয়েছেন ২ লাখের বেশি মানুষ। তাদের বেশিরভাগই মারা গেছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ভয়াবহ রক্তক্ষয়ী এই যুদ্ধে এখন পর্যন্ত বাড়িঘর হারিয়ে বাস্তুচ্যুত হয়েছেন প্রায় ৭০ লাখ সিরীয়। বিধ্বস্ত হয়েছে বিপুলসংখ্যক অবকাঠামো। শরণার্থী হিসেবে ইরাক, তুরস্কসহ বিভিন্ন দেশে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পাড়ি জমিয়েছেন বিপুলসংখ্যক মানুষ।