তুরস্ক ভ্রমণে ব্রিটিশ নাগরিকদের টিকা নেয়ার প্রয়োজন নেই
তুরস্ক বলেছে, ব্রিটিশ পর্যটকদের জন্য টিকা গ্রহনের কোন প্রয়োজন নেই। দেশটিতে আগমনের পূর্বে ব্রিটিশ ভ্রমণকারীদের টিকা গ্রহন আবশ্যকীয় নয়। তুরস্কের সংস্কৃতি ও পর্যটন মন্ত্রী মেহমেত নূরী ইরসয় বলেন, তুরস্ক এই গ্রীষ্মে ভ্যাকসিন গ্রহন ছাড়াই দর্শনার্থীদের স্বাগত জানানোর প্রত্যাশা করছে। আর ব্রিটিশ ভ্রমনকারীদের তুরস্কে আসার আগে পিসিআর টেস্টের প্রয়োজন নেই, কারন যুক্তরাজ্য ভ্যাকসিন প্রোগ্রামে সফল দেশ।
তিনি আরো বলেন, তুরস্কে প্রবেশকালে আন্তর্জাতিক ভ্রমনকারীদের নিকট থেকে আমাদের ভ্যাকসিনেশন পাসপোর্টের প্রয়োজন নেই। আমাদের তুরস্কব্যাপী কম ঝুঁকি নিয়ে ভ্রমন নিশ্চিত করতে আমাদের বিশ্বমানের বর্ডার প্রোসেস রয়েছে। তুরস্কে মূল গ্রীষ্ম মৌসুমের প্রাক্কালে হোটেল ও অন্যান্য পর্যটন স্থলের কর্মচারীদের টিকা গ্রহনে অগ্রাধিকার দেয়া হবে।
দেশে ফিরে যাওয়া পর্যটকদের করোনা পরীক্ষার জন্য অনেক হোটেল প্রস্তুতি গ্রহন করছে। এটা করতে বিমানবন্দরে প্রায় ২৫ পাউন্ড ব্যয় হবে। মন্ত্রী বলেন, মাস খানেকের মধ্যে আন্তর্জাতিক করোনা ভাইরাস কেসের পরিসংখ্যান পুনর্বিবেচনা করা হবে।
তিনি বলেন, আমরা পরিস্থিতি পুনঃমূল্যায়ন করবো এবং এরপর সিদ্ধান্ত নেবো তুরস্কে প্রবেশকারী ব্রিটিশ নাগরিকদের নিগেটিভ পিসিআর টেস্ট রেজাল্টের অব্যাহত আবশ্যকীয়তা আমাদের আছে কি-না। আমাদের প্রত্যাশা, ব্রিটিশ ভ্রমনকারীদের নিকট থেকে এধরনের কিছুর প্রয়োজন হবে না। কারন যুক্তরাজ্য সরকার গোটা জাতির জন্য দ্রুত সাফল্যের সাথে টিকা প্রদান কর্মসূচী চালু করেছে। তারা গ্রীষ্মের শুরুতেই জনসংখ্যার একটি বড়ো অংশকে টিকা দিতে সক্ষম হবে।
গত অক্টোবরে যুক্তরাজ্য ‘ট্রাভেল করিডর’ তালিকা থেকে তুরস্কের নাম মুছে ফেলে। দেশটি যেভাবে তার তথ্য উপাত্ত দিচ্ছে, এ নিয়ে উদ্বেগ থেকে তারা এমনটি করে।
২০১৯ সালে ২৫ লাখেরও বেশী ব্রিটিশ অবকাশ যাপনকারী তুরস্কে যাওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করে। পরিসংখ্যান অনুসারে, গত জানুয়ারীতে তুরস্কের বিমানবন্দরগুলো ৫২ লাখ যাত্রীকে সেবা দান করে, যা যুক্তরাজ্যের বিমানবন্দরগুলোর তুলনায় ৪ গুণ বেশী। উল্লেখ্য, বর্তমানে যুক্তরাজ্য থেকে সকল হলিডে অবৈধ। তবে ১৭ মে থেকে আন্তর্জাতিক ভ্রমণ খুলে দেয়া হতে পারে জানিয়েছে ব্রিটিশ সরকার।