ব্রিটেনে লকডাউনের বছর পূর্তি উপলক্ষে কর্মসূচি
ব্রিটেনে করোনাভাইরাস মহামারির কারণে ঘোষিত প্রথম লকডাউনের পর ইতোমধ্যে ১ বছর গত হয়েছে। ২০২০ সালের ২৩ মার্চ প্রধানমন্ত্রীর বরিস জনসন কোভিড-১৯ এর বিস্তার রোধে পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। তখন যুক্তরাজ্যে করোনায় মৃতের সংখ্যা ৩৬৪ থেকে বর্তমানে ১ লাখ ২৬ হাজার ১৭২ জনে দাঁড়িয়েছে। এক পর্যায়ে প্রধানমন্ত্রী নিজেই করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারাত্মক অসুস্থাবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হন।
তিনি বলেন, গত বছর আমাদের ব্যাপক মৃত্যুর মুখোমুখি হতে হয়েছে এবং এর পর এই একটি বছর ছিলো দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে কঠিন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী ম্যাট হ্যানকক বলেন, একটি জেনারেশনে গত বছর ছিলো সম্ভবত: সবচেয়ে কঠিন বছর। তবে চিকিৎসা ও ভ্যাক্সিনেশন এখন আশার সঞ্চার করেছে। গত বছর প্রথম জাতীয় লকডাউনের দিন করোনাভাইরাসে ৩৪০ জন মারা যান।
প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ঐসময় থেকে বর্তমান পর্যন্ত যারা মহামারির দুর্ভোগের শিকার হয়েছেন তাদের ‘গ্রেট স্পিরিট’ অর্থাৎ ‘তেজোদীপ্ততার‘ প্রশংসা করেন এবং তাদের প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করেন। করোনা মহামারির এক বছর পূর্তি উপলক্ষে দিবসের মধ্যভাগে এক মিনিট নীরবতা পালনের কথা ঘোষণা করা হয়েছে।
লোকজনকে এ সময় তাদের ঘরের দরজায় ফোন, মোমবাতি ও টর্চ হাতে ‘স্মরণের বাতি’ প্রজ্জ্বলনে অনুপ্রাণিত করা হয়েছে। অ্যান্ড অফ লাইফ চ্যারিটি ‘ম্যারি কুরি’ এর আয়োজন করছে।
করোনার বছরপূর্তি উদযাপন উপলক্ষে লন্ডন আই, ট্রাফালগার স্কোয়ার ও স্টেডিয়ামসহ লন্ডনের স্কাই লাইন শেষরাতে হলুদ আলোয় রঙ্গিন করা হবে। এছাড়া কার্ডিফ দুর্গ ও বেলফাস্ট সিটি হলসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ভবনগুলো আলোকিত করা হবে। এসময় গির্জা ও ক্যাথেড্রেলসমূহের ঘন্টা বাজানো হবে এবং হাজার হাজার মোমবাতি প্রজ্জ্বলন ও প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হবে।
স্কটল্যান্ডের ফার্স্ট মিনিস্টার নিকোলা স্টার্জিওন এক টুইট বার্তায় বলেছেন যে ,তার চিন্তা-ভাবনা ঐসব ব্যক্তিদের সাথে আছে, যারা কোভিডে স্বজনহারা হয়েছেন কিংবা গত একটি বছর নানাভাবে দুর্ভোগের শিকার হয়েছেন। ওয়েলস-এর ফার্স্ট মিনিস্টার মার্ক ড্রেইকফোর্ড এ উপলক্ষে টেলিভিশনে এক স্মরণ সভায় বক্তব্য রাখার কর্মসূচি রয়েছে।