হোম অফিস বহিষ্কারের ফ্লাইটে জনপ্রতি ১৩৩৫৪ পাউন্ড ব্যয় করছে
২০২০ সালের ৩ মাসে চার্টার করা ফ্লাইটে প্রত্যেক ব্যক্তিকে যুক্তরাজ্য থেকে বহিষ্কারে মাথাপিছু ১৩ হাজার ৩৫৪ পাউন্ড ব্যয় হয়েছে, যা একটি নির্ধারিত ফ্লাইটে একটি টিকেটের মূল্যের ১০০ গুণ বেশী। আর এর আগের বছরের অর্থাৎ ২০১৯ সালে একই সময়ের তুলনায় ১১.৫ শতাংশ বেশী।
‘নো -ডিপোর্টেশন’ নামক একটি সংগঠন বলেছে, ২০২০ সালের অক্টোবর ও ডিসেম্বরের মধ্যবর্তী সময়ে হোম অফিসের মাধ্যমে ৩২২ জন লোককে বহিষ্কারে ৪.৩ মিলিয়ন পাউন্ড ব্যয় হয়েছে, জনপ্রতি ১৩ হাজার ৩৫৪ পাউন্ড।
হোম অফিস কর্তৃক অনেক ২৩টি চার্টাড ফ্লাইটে ঐ সময়ে ১০জনেরও কম যাত্রী ছিলো। কয়েকটিতে ছিলো ৫ জনের মতো। হোম অফিস বলেছে, বহিষ্কৃত ব্যক্তিগণ কর্তৃক শেষ সময়ে চ্যালেঞ্জের দরুণ এদের সংখ্যা কম হয়েছে। ২০১৯ সালের শেষ ৩ মাসে চার্টার ফ্লাইটে বহিষ্কারের খরচ ছিলো মাথাপিছু ১১ হাজার ৯৭৫ পাউন্ড।
এই পরিসংখ্যানে এটাই প্রতীয়মান হয় যে, চার্টার ফ্লাইটে বহিষ্কৃত ব্যক্তিদের সংখ্যা ২০১৯ সালের ৩৭ জন থেকে ২০২০ সালে ৩২২ জনে বৃদ্ধি পায়। ৪ থেকে ২৩ তারিখের মধ্যে ব্যবহৃত চার্টাড ফ্লাইটের সংখ্যা ৬ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।
ব্রেক্সিট এর সীমা শেষ হওয়ার আগে ইইউ সদস্য পদ থাকাবস্থায় যে প্রথম নিরাপদ ইউরোপীয় দেশের মধ্য দিয়ে তারা এসেছে, সে দেশে এসাইলাম প্রার্থীদের ফেরত প্রেরণের একটি মেকানিজম বিদ্যমান ছিলো। তবে এই ফেরত প্রেরণের স্কীমের সুযোগ বেশিদিন দেয়নি সরকার।
‘চ্যারিটি ডিটেনশন অ্যাকশন’-এর ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জেমস উইলসন বহিষ্কারের চার্টার ফ্লাইটের ব্যাপারে সরকারের তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, অর্থনৈতিক ও সামাজিক বড়ো ধরনের বিপর্যয়ের সময়ে প্রীতি প্যাটেল একজন মাত্র ব্যক্তিকে বহিষ্কারে প্রাইভেট জেটগুলোকে বের করে এনেছেন। মন্ত্রীরা ও ব্রিটিশ জনগণ এ ব্যাপারে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন, যখন অন্যান্য বাজেট ও আবশ্যকীয় সেবা বিপুল চাপের মুখে।
ব্রিটিশ ইমিগ্রেশন কমপ্লায়েন্স অ্যান্ড জাস্টিস মিনিস্টার ক্রিস ফিলপ বলেন, বিদেশি অপরাধী এবং যুক্তরাজ্যে যাদের থাকার অধিকার নেই তাদের বহিষ্কারের জন্য আমরা কোনভাবেই ক্ষমা প্রার্থনা করবো না। আমরা সাফল্যের সাথে ২০১৯ সালের জানুয়ারি থেকে আজ পর্যন্ত ৬ হাজার ৪৫০ জন বিদেশি অপরাধীকে বহিষ্কার করেছি।
সরকার শেষ মুহূর্তে চ্যালেন্জজনিত বিলম্ব ঠেকাতে ইমিগ্রেশনের জন্য একটি সুষ্ঠু অথচ দৃঢ় পরিকল্পনা প্রণয়নের লক্ষ্যে এগোচ্ছে।