স্যানটেন্ডার ১১১ টি শাখা বন্ধ করছে যুক্তরাজ্যে
স্যানটেন্ডার যুক্তরাজ্যে তার আরো ১১১ টি শাখা বন্ধ করে দেয়ার পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে। কভিড সংকট শুরুর পর থেকে গ্রাহকদের আচরণের পরিবর্তনের কথা উল্লেখ করে এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে তারা জানান। এই স্পেনীয় ঋণদাতা জানায় যে, ২০২১ সালের আগষ্টের শেষে তাদের সকল আউটলেট বন্ধ করে দেবে।
তাদের মতে, অধিকাংশ ক্ষতিগ্রস্ত আউটলেট অপর শাখা থেকে ৩ মাইলেরও কম দূরত্বে অবস্থিত। বিবৃতিতে বলা হয়, প্রস্তাবিত পরিবর্তন অনুসারে স্যানটেন্ডার ৪৫২ টি শাখার একটি নেটওয়ার্ক রেখে দেবে। সকল চলতি ও বিজনেস একাউন্ট হোল্ডার ১১ হাজার পোস্ট অফিস শাখায় ব্যাংকিং করতে পারবেন। বিবৃতিতে আরো বলা হয়, আগামী ৫ মাস স্যানটেন্ডারের স্টাফরা ফোনের মাধ্যমে সম্ভাব্য অরক্ষিত ধরনের গ্রাহকদের সাথে যোগাযোগ করবেন এককভাবে সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে।
আগামী ২৪ জুন থেকে শুরু হবে বন্ধের কর্মসূচী। এই তারিখে বন্ধ হওয়ার তালিকায় রয়েছে লন্ডনের ৪ টি এবং গ্লাসগোর একটি শাখা। স্যানটেন্ডার আরো বলেছে, মহামারির আগে ২ বছরে ব্রাঞ্চের লেনদেন ৩৩ শতাংশ হ্রাস পায় এবং ২০২০ সালে আরো ২০ শতাংশ কমে যায়। ইতোমধ্যে মোবাইল ও অনলাইনে লেনদেন ২০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। বলা যায় মোট লেনদেনের দুই তৃতীয়াংশ এখন ডিজিটাল পদ্ধতিতে হচ্ছে।
এছাড়া বৃহস্পতিবার প্রদত্ত এক বিবৃতিতে স্যানটেন্ডার প্রকাশ করে যে, তারা ৬ টি মূল জায়গায় অফিসস্থল সংহত করছে। চলতি বছর মিল্টন কীনিস হবে এর নতুন কর্পোরেট হেড অফিস। বেলফাস্ট, ব্রাডফোর্ড, গ্লাসগো, লন্ডন এবং শেফিল্ড- এর বেসগুলোর দ্বারা এটা যুক্ত হবে, যখন ডিসেম্বরে বুটল, নিউ ক্যাসেল, লন্ডন পোর্টম্যান হাউস এবং মানচেষ্টার ডীনসগেট অফিসসমূহ বন্ধ হয়ে যাবে।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, পরস্পর লাগোয়া কিংবা সংহত করা সাইটসমূহের প্রায় ৫ হাজার স্টাফকে নতুন কাজের ব্যবস্থাপনায় নিয়ে আসা হবে, যারা তাদের বাড়িতে বসে স্থানীয় সহায়তা নিয়ে কাজের সমন্বয় করবেন। স্যানটেন্ডার এর অ্যাডম বিশপ বলেন, বিগত বছরগুলোতে গ্রাহকদের শাখা ব্যবহার উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে। তাই এলাকা সমূহে আমাদের উপস্থিতি সংহত করতে আমরা কঠিন সিদ্ধান্ত গ্রহন করেছি। সেক্ষেত্রে পারস্পরিকভাবে লাগোয়া বা কাছাকাছি এমন অনেকগুলো শাখা আমরা বন্ধ করেছি।