ভাড়াটেদের নিরাপত্তায় নতুন আইন, লংঘনে ৩০ হাজার পাউন্ড জরিমানা
ভাড়াটেদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং আইন লংঘনকারী বাড়ির মালিকদের শাস্তির লক্ষ্যে কঠোর আইন চালু করতে যাচ্ছে ব্রিটিশ সরকার। আগামী সপ্তাহ থেকে এ সংক্রান্ত আইন কার্যকর হবে। এতে আইন লংঘনকারী বাড়ি তথা সম্পত্তির মালিকের বিরুদ্ধে ৩০ হাজার পাউন্ড জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে।
এপ্রিল থেকে বাড়ির মালিকদের তাদের ভাড়া দেয়া বাড়িগুলোর বৈদ্যুতিক নিরাপত্তা পাঁচ বছর পর পর পরীক্ষা করতে হবে। ১ এপ্রিল থেকে এই আইনের মানে হচ্ছে, ইংল্যান্ডের বিদ্যমান সকল ভাড়াটে ঘর-বাড়ির প্রতি ৫ বছর পর পর বৈদ্যুতিক নিরাপত্তা পরিদর্শনের প্রয়োজন হবে।
ইলেকট্রিক্যাল ইনস্টলেশন কন্ডিশন রিপোর্ট অর্থাৎ ইআইসিআর হিসেবে পরিচিত এই আইন এমন যে কোন জরুরী কাজের প্রতি আলোকপাত করবে, যা সম্পত্তির নিরাপত্তার জন্য অবশ্যই সম্পাদন করতে হবে। যেসব ভূস্বামী বা সম্পত্তির মালিক প্রয়োজনীয় মেরামত কাজ করতে ব্যর্থ হবেন তাদেরকে ৩০ হাজার পাউন্ড জরিমানা গুনতে হবে। এই আইন প্রণয়নের পেছনে একটি ঘটনা বিশেষভাবে কাজ করেছে।সেটা হচ্ছে, ২০০৮ সালে থিরজা হুইট্টাল নামক জনৈক মহিলার বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনা।
থিরজা হুইট্টাল তার ভাড়াটে বাড়ির বাথটাবে পা রাখার সাথে সাথে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। বাড়ির বৈদ্যুতিক ব্যবস্থায় ত্রুটির দরুণ এমনটি ঘটে। খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, বিগত ১৯৮১ সাল থেকে সম্পত্তিটি পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হয়নি। এছাড়া স্ত্রীকে নিয়ে একটি প্রাইভেটভাবে ভাড়াকৃত বাড়ির বাগানে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন প্রফেসর অ্যালিস্টন। ত্রুটির কারণে ঝুলে থাকা একটি জীবন্ত বৈদ্যুতিক তারে তিনি স্পৃষ্ট হন।
ইলেকট্রিক্যাল সেইফটি ফাস্ট-এর প্রধান নির্বাহী লেসলি রুড বলেন, এই আইনের অধীনে ভাড়াটেরা বিদ্যুৎ সৃষ্ট সম্ভাব্য বিপদ থেকে সুরক্ষা পাবেন। ইতোমধ্যে অনেক ভালো ল্যান্ডলর্ড বা সম্পত্তির মালিক এ ধরণের পরীক্ষার কাজ সম্পাদন করেছেন। অনেকে করেননি। এ ধরণের পরীক্ষা আলিস্টন ও থিরজার ক্ষেত্রে সংঘটিত মর্মান্তিক বৈদ্যুতিক দুর্ঘটনা প্রতিরোধে সহায়ক হবে। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ এই নতুন আইন বাস্তবায়ন করবে এবং ল্যান্ডলর্ড অর্থাৎ সম্পত্তির মালিকেরা তা মেনে চলছেন কি-না, এর নজরদারি করবেন।