ব্রিটিশ সরকারের জাতিগত প্রতিবেদনে ব্যবসায়ী প্রধানদের পরামর্শ উপেক্ষিত
কৃষ্ণাঙ্গ ও ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর যে সকল ব্যবসায়ী নেতা সরকারের বিতর্কিত জাতিগত প্রতিবেদনে অবদান রেখেছিলেন, তারা এর প্রাপ্ত বিষয়ের ব্যাপারে ব্যাপক নিন্দা জানিয়েছেন। তারা বলেন,তাদের সুপারিশগুলো উপেক্ষিত হয়েছে এই প্রতিবেদনে। ব্রিটিশ বিজনেস ব্যাংকের ব্যবসা ও চাকুরী সংক্রান্ত ওয়ার্কিং গ্রুপ গত সেপ্টেম্বরে সভা অনুষ্ঠান শুরু করেন। গ্রুপটি ১১টি প্রমাণভিত্তিক ১৪ পৃষ্ঠার সুপারিশমালা দাখিল করেন। তারা প্রত্যাশী ও বিদ্যমান সংখ্যালঘু ব্যবসায়ী উদ্যোক্তাদের মূলধন লাভের প্রয়োজনীয়তার উপর গুরুত্ব আরোপ করেন। এছাড়া পৃষ্ঠপোষক প্রাতিষ্ঠানিক সহায়তায় এবং ইথনিক পে গ্যাপসমূহের ব্যাপারে নিয়োগকর্তাদের বাধ্যতামূলক রিপোর্টিংয়ের ওপরও গুরুত্ব প্রদান করেন তারা।
কমিশনের দাখিলকৃত জাতিগত বৈষম্য সংক্রান্ত ব্যবসা অংশ সমালোচনার মুখে পড়েছে। এটা অসংগতিতে পূর্ণ এবং ‘লেভি রুটস’ থেকে একক প্রতিষেধক অনুসন্ধান বলে সমালোচনা করা হয়। ফাউন্ডার ট্রাইবস-এর প্রধান নির্বাহী গ্যারি স্টুয়ার্ট বলেন, রিপোর্টের ব্যবসা অংশের সরাসরি প্রতিক্রিয়া সরবরাহের জন্য ১০ নং কর্তৃক নিযুক্ত হই। যে বাস্তবতা নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি, তা ব্রেভ রিসার্চ কর্তৃক প্রদত্ত বাস্তবতা, উপাত্ত এবং এতে ব্যবসাক্ষেত্রে প্রাতিষ্ঠানিক বর্ণবাদী ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে জীবন্ত অভিজ্ঞতা তুলে ধরা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আমরা ব্যাখ্যা করেছি। সমাধান তুলে ধরেছি। কিন্তু এটাই প্রতীয়মান হয়েছে যে, অনুশীলন সর্বদা পিআর সম্পর্কে এবং আমাদের কাজ, তারা যে উপসংহারে পৌঁছতে চেয়েছিলেন, তার অনুকূল বা সংগতিপূর্ণ নয়। ১০ নম্বর কর্তৃপক্ষ ‘পাওয়ারফুল মিডিয়া‘র প্রধান নির্বাহী মাইকেল ইবোদাকে কমিশনের জন্য সিনিয়র কৃষ্ণাঙ্গ ব্যবসায়ী প্রতিভা সুপারিশ করার জন্য বলেছিলেন। তবে পরবর্তী সময়ে তিনি দাবি করেন যে, তাকে বলা হয়, তার প্রার্থীরা উপযুক্ত নয়।
তিনি বলেন, রিপোর্ট বা প্রতিবেদনের ব্যবসায় উদ্যোগ অংশ, ব্যবহার বা আচরণের ক্ষেত্রে তাদের নিকট হাস্যকর ধরণের সাদামাটা বা সহজ-সরল, যারা এ ব্যাপারে ওয়াকিবহাল যে,এগুলো এতো সহজ বিষয় নয় বরং জটিল।
সরকার নিযুক্ত ওয়ার্কিং গ্রুপের সদস্য এবং ফাউন্ডারভাইন-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইজ্জি ওবেং বলেন, কমিশনের আলোকপাত বা উপস্থাপনের ব্যাপারে তিনি হতাশ। সেটা ছিল একটি ব্যাপকভাবে হারানো সুযোগ। সমাজ ও ইন্ডাস্ট্রিতে প্রকৃত শিফট ঘটছে। কোম্পানিগুলো তাদের জাতিগত মজুরি পরিশোধের গ্যাপ বা ফারাক প্রকাশে কাজ করছে। কিন্তু এই রিপোর্ট বা প্রতিবেদনে উপেক্ষিত হয়েছে এই প্রয়োজনীয় বিষয়টি।