অক্সফোর্ডের টিকায় রক্ত জমাট, যুক্তরাজ্যে ৭ জনের মৃত্যু
যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড/অ্যাস্ট্রাজেনেকার যৌথভাবে তৈরি ভ্যাকসিন নেয়ার পরে রক্ত জমাট বাঁধার সিন্ড্রোমে আক্রান্ত হয়ে ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে। যদিও বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে, এই সংখ্যা খুবই কম এবং ভ্যাকসিন না নেয়ার ঝুঁকি থেকে নেয়ার সুবিধা বেশি।
যুক্তরাজ্যের ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থা জানিয়েছে, দেশটিতে অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনা ভ্যাকসিন নেয়ার পর রক্তে জমাট বাঁধা ৩০ জনের মধ্যে ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার শেষ রাতে এই তথ্য জানানো হয়েছে। তবে এরপরও অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন নিরাপদ উল্লেখ করে দেশটির জনগণকে তা নেয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি। মেডিসিনস অ্যান্ড হেলথ কেয়ার প্রোডাক্ট রেগুলেটরি এজেন্সির (এমএইচআরএ) সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুসারে, ভ্যাকসিন দেয়া শুরু হওয়ার পর থেকে গত ২৪ মার্চ অবধি যারা ভ্যাকসিন নিয়েছেন তাদের মধ্যে ২৪ জনের ক্ষেত্রে মস্তিষ্কে সেরিব্রাল ভেনাস সাইনাস থ্রোম্বোসিস (সিভিএসটি) নামে রক্ত জমাট বাঁধার সমস্যার কথা জানা গেছে। তবে তারা জানিয়েছে, ভ্যাকসিন নেয়ার কারণেই রক্তে জমাট বাঁধার বিষয়টি স্পষ্ট নয়। যুক্তরাজ্যে রক্তে বিরল জমাট বাঁধার নির্দিষ্ট ঘটনাগুলো পর্যালোচনা করা হচ্ছে।
শুক্রবার শেষ রাতে সংস্থাটি জানিয়েছে, রক্তে জমাট বাঁধার কারণে অন্তত সাত জনের মৃত্যু হয়েছে। তবে মৃতদের বয়স ও স্বাস্থ্যগত কোনও তথ্য প্রকাশ করা হয়নি। সব মিলিয়ে সংস্থাটি ভ্যাকসিন নেওয়ার পর ৩০ জনের দেহে রক্তে জমাট বাঁধার কথা জানিয়েছে। যেখানে ১ কোটি ৮০ লাখের বেশি ডোজ ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হয়েছে। সংস্থাটির মতে, ভ্যাকসিন নেয়ার পর রক্তে জমাট বাঁধার ঝুঁকি খুব কম। এমএইচআরএ-এর প্রধান নির্বাহী ডক্টর জুন রায়নে জানান, করোনার সংক্রমণ মোকাবিলায় অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন নেওয়া যে কোনও ঝুঁকির তুলনায় লাভ বেশি। জনগণের উচিত ভ্যাকসিন নেয়া যখন তাদের আহ্বান জানানো হবে।
অ্যাস্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিনে রক্তে জমাট বাঁধার আশঙ্কায় কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি ও নেদারল্যান্ডস ইতোমধ্যে বয়স্কদের দেহে প্রয়োগ স্থগিত করেছে। ইউরোপের বিভিন্ন দেশের তুলনায় দ্রুতগতিতে ভ্যাকসিন কর্মসূচি পরিচালনা করা যুক্তরাজ্য অ্যাস্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিনেই আস্থা রাখছে। দেশটিতে ফাইজার-বায়োএনটেকের করোনা ভ্যাকসিন নেয়া মানুষদের দেহে রক্ত জমাট বাঁধার কোনও ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।