মিনায় এসে পৌছেছেন হাজিরা
পবিত্র হজের মূল আনুষ্ঠানিকতা পালনের অংশ হিসেবে সৌদি আরবের মক্কা নগরীর মিনায় এসে পৌছেছেন হাজিরা। সৌদি আরবের প্রভাবশালী গণমাধ্যম আরব নিউজ রোববার এক প্রতিবেদনে জানায়, মিনায় যাওয়ার সময় পথে তল্লাশি করা হয় তাদের।
মুসলমানদের ধর্মীয় অনুষ্ঠানের চতুর্থ স্তম্ভ হজের মূল আনুষ্ঠানিকতা হয় শনিবার সন্ধ্যায়। হজ পালনে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা প্রায় ২০ লাখ মুসলমানের কেউ পায়ে হেটে কেউবা বাসে কাবা শরীফ থেকে ১০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে মিনার উদ্দেশে রওনা করেন।
সাধারণত মিনায় পৌঁছাতে ৪০ মিনিট সময় ব্যয় হলেও এবার তীব্র যানজটের কারণে সেখানে পৌছাতে সময় লাগছে প্রায় সাড়ে ৩ ঘণ্টা। রোববার সারাদিন ও সারারাত মিনায় অবস্থান করবেন তারা।
হজের মূল আনুষ্ঠানিকতা পালন করতে সোমবার তারা যাবেন আরাফাতের ময়দানে। মঙ্গলবার পশু কোরবানির মধ্য দিয়ে শেষ হবে হজের আনুষ্ঠানিকতা।
সৌদি আরবের পবিত্র মক্কা নগরীতে বিশ্ব মুসলিমের সর্ববৃহৎ এ ধর্মীয় সমাবেশে এখন লাখ লাখ মুসল্লির কণ্ঠে একযোগে ধ্বনিত হচ্ছে লাব্বায়েক আল্লাহুম্মা ইয়া লাব্বায়েক।
হজের অংশ হিসেবে মিনায় সোমবার সকাল পর্যন্ত অবস্থান করবেন তারা। সেখানে মহান আল্লাহর নৈকট্য ও রহমত পাওয়ার উদ্দেশে নামাজ আদায়, জিকির-আসকার ও ইবাদত-বন্দেগির মধ্য দিয়ে সময় কাটাবেন। পাপ থেকে মুক্তি ও কল্যাণময় জীবন লাভের জন্য মহান আল্লাহর কৃপা কামনা করে কান্নাকাটি করবেন হাজিরা।
মিনা থেকে সোমবার খুব ভোরে আরাফাতের উদ্দেশে যাত্রা করবেন হাজিরা। সেখানে হজের খুতবা শুনবেন এবং এক আজানে জোহর ও আসরের নামাজ আদায় করবেন।
সন্ধ্যায় আরাফাত ও মিনার মাঝামাঝি মুজদালিফার উদ্দেশে হাজিরা আরাফাতের ময়দান ত্যাগ করবেন। মুজদালিফায় পৌঁছে আবার এক আজানে আদায় করবেন মাগরিব ও এশার নামাজ।
সেখানে মধ্যরাত পর্যন্ত অবস্থান করে মিনার জামারায় শয়তানকে পাথর নিক্ষেপের আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে মঙ্গলবার সকালে ফজর নামাজের পর পশু কোরবানি করে মাথা মুণ্ডন করবেন পুরুষ হাজিরা। এর পর ইহরাম বেঁধে হজের মূল কার্যক্রম শেষ করে পবিত্র কাবা শরিফ তওয়াফের মধ্য দিয়ে পূর্ণ আনুষ্ঠানিকতা শেষ করবেন।
গত বছর প্রায় ২৫ লাখ হাজি হজ করলেও এবার মক্কায় সম্প্রসারণ কাজের জন্য হাজির সংখ্যা সীমিত করা হয়েছে। এ বছর সৌদি আরবের বাইরে সারা বিশ্বের হাজির সংখ্যা প্রায় ২০ লাখ।
সৌদি আরবের অভ্যন্তরীণ হাজির সংখ্যাও ৫০ শতাংশ কমানো হয়েছে। বাংলাদেশ থেকে এবার হজে গেছেন প্রায় ৯০ হাজার। এরই মধ্যে কয়েকজন বাংলাদেশি হাজির মৃত্যুও হয়েছে।