সরকারের জাতিগত প্রতিবেদন বিশ্বাসযোগ্য নয়: লেবার নেতা কেইর স্টার্মার
লেবার নেতা কেইর স্টার্মার বলেছেন, ব্রিটেনে জাতিগত বৈষম্য সংক্রান্ত প্রতিবেদনে ‘বিশ্বাসযোগ্যতার ঘাটতি’ রয়েছে। তিনি সরকারী পৃষ্ঠপোষকতায় তৈরী এই পর্যালোচনা রিপোর্টের ‘শঠতাপূর্ণ’ প্রাপ্ত বিষয়গুলো প্রত্যাখ্যানের আহ্বান জানিয়েছেন সরকারের প্রতি। এই রিপোর্ট বা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভৌগলিক বিষয়, পারিবারিক প্রভাব, আর্থ-সামাজিক পটভূমি, সংস্কৃতি ও ধর্ম এসব জীবন সম্ভাবনায় যে ক্ষতিকর প্রভাব সৃষ্টি করে তা জাতিগত বৈষম্যের চেয়ে বেশী।
এই ধারনা ওড়িয়ে দিয়ে স্টার্মার বলেন, ব্রিটেনে বর্ণবাদ একটি ইস্যু। এতে জাতিগত বিষয়ে বর্তমান বাগাড়ম্বরপূর্ণ অভিযোগের সুরের সমালোচনা করা হয়েছে এবং কী আছে এবং আরো কী অর্জন করা যেতে পারে, সে বিষয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়েছে। স্যার কেইর আরো বলেন, সরকারের জাতিগত পর্যালোচনা রিপোর্ট যুক্তরাজ্যে বিদ্যমান কাঠামোগত ও প্রাতিষ্ঠানিক বর্ণবাদের বাস্তবতা উপস্থাপনের একটি সুযোগ হারিয়েছে।
তিনি বলেন, প্রতিবেদনটি বিশ্বাসযোগ্য নয় এবং এতে কৃষ্ণাঙ্গ, সংখ্যালঘু ও নৃতাত্ত্বিক কমিউনিটিগুলোর জীবন্ত অভিজ্ঞতাসমূহ উপক্ষো করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী হলে আমি কাঠামোগত অসমতা মোকাবেলায় একটি নতুন ‘জাতিগত সমতা আইন’ প্রণয়ন করতাম। যে অসমতা দীর্ঘকাল যাবৎ আমাদের সমাজে বিদ্যমান। ইতোমধ্যে ব্যারোনেস ডরিন লোরেন্স বলেছেন, রিপোর্টটি বর্ণবাদীদের গ্রীন সিগন্যাল প্রদান করেছে এবং এর প্রণেতারা বাস্তবতা বিবর্জিত।
স্যার স্টার্মার অক্টোবরে একটি নতুন রেইস ইক্যুয়েলিটি অ্যাক্ট প্রণয়নের প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন। পর্যালোচনা শেষে ব্যারেনেস লোরেন্সের নেতৃত্বে এটা করা হবে, যাতে যুক্তরাজ্য কৃষ্ণাঙ্গ ও নৃতাত্ত্বিক সংখ্যালঘু গোষ্ঠীগুলোর ওপর মহামারির বৈষম্যমূলক ক্ষতিকর প্রভাব পর্যালোচনা করা হবে। গত শুক্রবার সুশীল সমাজের একটি গ্রুপের নেতৃবৃন্দের হাতে লেখা একটি দরখাস্ত ১০ নম্বরে প্রেরণ করা হয়। এতে উক্ত প্রতিবেদনটি প্রত্যাহার এবং দীর্ঘ প্রতীক্ষিত ম্যাকফারসন, ল্যামি, মারমট ও উইলিয়ামস-এর পর্যালোচনাসমূহ বাস্তবায়নের সুপারিশ করা হয়। এই খোলা চিঠিতে স্বাক্ষর করেন ‘ব্ল্যাক লাইভ ম্যাটার’ এবং রান্নিমিড ট্রাস্টসহ অনেকগুলো সংগঠন। এতে ৪৮ ঘন্টায় ২০ হাজার স্বাক্ষর সংগৃহীত হয়।