গ্রীনসিলের পক্ষে লবিয়িং, বিপাকে ডেভিড ক্যামেরুন
সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরুন কেলেংকারীতে জর্জরিত কোম্পানী গ্রীনসিলের পক্ষে মন্ত্রীদের লবিয়িংয়ের ব্যাপারে দীর্ঘ ১ মাসের নীরবতা ভেঙ্গেছেন। তিনি স্বীকার করেছেন যে, তিনি ভিন্নভাবে কাজ করেছেন এবং সবচেয়ে আনুষ্ঠানিক চ্যানেলসমূহ ব্যবহার করেছেন।
ক্যামেরুন বলেন, মার্চের প্রথম দিকে তিনি তার আচরণ নিয়ে ভেবেছেন এবং তা থেকে গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা গ্রহন করা যাবে। গত ১২ মার্চ তার অফিসে মন্তব্যের জন্য প্রথম আনুষ্ঠানিক অনুরোধ দাখিল করা হয় এবং তখন থেকে ক্যামেরুন জাতীয় মিডিয়ার সকল অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করে আসছেন।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী কোম্পানীর পক্ষে লবিয়িংয়ের জন্য কয়েক মাস ব্যয় করেছেন। তিনি চ্যান্সেলর ঋষি সুনাক, অন্য দু’জন মন্ত্রী, সিনিয়র ট্রেজারি এবং ১০ নম্বরের কর্মকর্তাদের কাছেও টেক্সট ম্যাসেজ প্রেরণ করেন। রোববারের বিবৃতিতে তিনি বলেন যে, তিনি আচরনবিধি লংঘন করেননি কিংবা সরকারী নীতিমালা ভঙ্গ করেননি।
তিনি আরো বলেন, আমি বিশদভাবে বিষয়টি নিয়ে ভেবেছি। এক্ষেত্রে শেখার মতো গুরুত্বপূর্ন বিষয় রয়েছে। একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রী হিসেবে, আমি এটা স্বীকার করছি যে, সরকারের সাথে যোগাযোগ শুধুমাত্র সবচেয়ে আনুষ্ঠানিক চ্যানেলসমূহের মাধ্যমে করা আবশ্যক। এতে কোন ধরনের ভুল ব্যাখ্যার সুযোগ থাকতে পারে না।
তার কর্মকান্ডের ভুল ব্যাখ্যা হয়েছে মর্মে তার মন্তব্য ওয়েস্টমিনিস্টারে অনেকের ভ্রু কুঞ্চিত করে। একজন শেয়ারহোল্ডার হিসেবে ক্যামেরুন গ্রীনসিল থেকে সম্ভাব্য মিলিয়ন মিলিয়ন পাউন্ড লাভ করতে উদ্ধত হন। কিন্তু এর বিপর্যয়ের পর তার শেয়ারগুলো অর্থহীন হয়ে পড়ে। লবিয়িং কেলেংকারীতে ক্যামেরুনের ভূমিকা বিশেষভাবে তাকে বিব্রতকর অবস্থায় ফেলে দিয়েছে। কারন তিনি প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে লবিয়িংকে নিয়মনীতির মধ্যে আনার কথা বলেছিলেন। ২০১০ সালে প্রদত্ত এক বক্তব্যে তিনি বলেন, লবিয়িং নিয়ে কাজ করা বেদনাদায়ক। তবে তিনি সুযোগ-সুবিধা, অতিরিক্ততা ও সাধারন নীতিমালা থেকে মুক্ত কিছুর ওপর চড়াও হওয়ার কথা বলেন, যা পার্লামেন্টকে আক্রান্ত করে। তিনি লবিয়িংকে লাঞ্চ, অতিথেয়তা ও কানাকানি বলে বর্ণনা করেন।