মিলিটারি ব্যারাকে এসাইলাম প্রার্থীদের রাখায় হোম অফিস তদন্তের সম্মুখীন
মিলিটারি ব্যারাকগুলোকে এসাইলাম প্রার্থীদের থাকার জায়গা হিসেবে ব্যবহার করায় হোম অফিস এখন তদন্তের সম্মুখীন। গত ১৭ মার্চ অনুষ্ঠিত একটি প্রাইভেট মিটিংয়ে ইমিগ্রেশন ডিটেনশন সংক্রান্ত অল পার্টি পার্লামেন্টারি গ্রুপ (এপিপিজি)-এর এমপি ও সহকর্মীরা এই তদন্ত পরিচালনায় সম্মত হন। গ্রীষ্মকাল শেষ হওয়ার আগেই ক্রসপার্টি গ্রুপটি প্রাথমিক প্রাপ্তিসমূহ প্রকাশ করার কথা। আশা করা যাচ্ছে, এর প্রাপ্ত বিষয়সমূহ এসাইলাম প্রার্থীদের জন্য হোম অফিসের নতুন পরিকল্পনাগুলো সম্পর্কে পার্লামেন্টারী সভাগুলোকে অবহিত করবে।
গ্রুপের সদস্যরা বিস্তৃত ডিটেনশন হিসেবে প্রাতিষ্ঠানিক সাইটগুলোর ব্যবহারকে ব্যাপক হিসেবে বর্ণনা করেন এবং বলেন, যদিও ফকেস্টোনের ন্যাপিয়ার ব্যারাকগুলোর মতো ব্যারাকসমূহ টেকনিক্যালী ইমিগ্রেশন ডিটেনশন নয়, তবু এই আবাস্থলগুলো এর অনেক চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য বহন করে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে ব্যাপক কমিউনিটি থেকে বিচ্ছিন্নতা এবং মেডিকেল ও আইনী সহায়তা পেতে জটিলতা, দৃশ্যমান নিরাপত্তা ব্যবস্থাসমূহ যেমন প্রহরা কার্যক্রম এবং কাঁটাতারের বেড়া, ব্যক্তিগত গোপনীয়তার হ্রাসকৃত মাত্রা এবং ঢুকতে ও প্রবেশ করতে স্বাক্ষর প্রদান ও কারফিউ।
এপিপিজি-এর সভাপতি অ্যালিসন থিউলিস এমপি বলেন, বোর্ডার্স এন্ড ইমিগ্রেশন এর চিফ ইন্সপেক্টর কর্তৃক প্রদত্ত সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে এ ধরনের সাময়িক বাসস্থানে আইনের বিধিবিধানের মারাত্মক ঘাটতি বিদ্যমান থাকার বিষয়ে গুরুত্ব প্রদান করা হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে গ্রুপটি মন্ত্রীদের কাছে বিভিন্ন সময়ে লেখাগুলোতে অকার্যকর সুরক্ষা, অস্বাস্থ্যকর অবস্থা, অপর্যাপ্ত সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা এবং এগুলো ছাড়াও আরো অনেক বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
গত কয়েকদিনে ন্যাপিয়ারে স্থানান্তরিত এসাইলাম প্রার্থীগণ কর্তৃক কমপক্ষে ১০টি নতুন আইনী চ্যালেন্জ ছুঁড়েছেন। ধারণা করা হচ্ছে গত ৯ এপ্রিল থেকে প্রায় ৪৫ জন প্রার্থীকে ন্যাপিয়ার ব্যারাকে স্থানান্তর করা হয়েছে। ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে চালুর পর থেকে এ পর্যন্ত ৪০০ জনের মতো লোককে ন্যাপিয়ারে স্থান দেয়া হয়। এখানে মহামারির প্রাদুর্ভাব দেখা দিলে, তাদের অর্ধেকই করোনায় আক্রান্ত হন।
ন্যাপিয়ারে আসা নতুন বাসিন্দাদের অনেকে সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে ছোট্ট নৌকায় যুক্তরাজ্যে আসে বলে মনে করা হচ্ছে। এদের অনেককে নির্যাতনের শিকার এবং চোরাচালানের সম্ভাব্য শিকার হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে। বুধবার হাইকোর্ট ঐসব এসাইলাম প্রার্থীদের প্রতিনিধিত্বকারী আইনজীবীদের বক্তব্য শুনবেন, যাদের আগে ন্যাপিয়ার ব্যারাকে বসবাসের অভিজ্ঞতা রয়েছে।
হোম অফিসের জনৈক মুখপাত্র বলেন, ন্যাপিয়ার ব্যারাকগুলোতে এসাইলাম প্রার্থীরা নিরাপদ, উপযুক্ত, কোভিড বিধি মেনে চলার মতো পরিবেশ বিদ্যমান। এখানে দৈনিক তিন বেলা পুষ্টিকর খাবার দেয়া হয়। এসাইলাম প্রার্থীদের চাপ থাকাবস্থায় আমরা ন্যাপিয়ার ব্যারাকসমূহের ব্যবহার অব্যাহত রাখবো।