তুরস্কের আকাশ থেকে আকাশে নিক্ষেপণযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র‘র সফল পরীক্ষা
তুরস্ক আকাশ থেকে আকাশে নিক্ষেপণযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির মাধ্যমে এ ক্ষেত্রে বিশ্বের গুটিকয়েক দেশের একটিতে পরিণত হয়েছে। তাদের দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি অস্ত্রটি সাফল্যজনকভাবে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম হয়েছে। গতকাল বুধবার তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান এ তথ্য প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, আমাদের বজদোগান আকাশ থেকে আকাশে নিক্ষেপণযোগ্য ইন-সাইট ক্ষেপণাস্ত্রটি গকতুগ প্রকল্পে আমাদের তরুণ প্রযুক্তিবিদ ও প্রকৌশলীরা ডেভেলাপ করেছেন। প্রথমবারেই ক্ষেপণাস্ত্রটি লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম হয়েছে।
পরীক্ষাকালে বজদোগান ক্ষেপণাস্ত্র একটি মনুষ্যবিহীন এরিয়েল ভেহিকল সিমসেক-কে ধ্বংস করে। ক্ষেপণাস্ত্রটি টার্কিশ অ্যারোস্পেস ইন্ড্রাষ্ট্রিজ-এর সিমসেক নামক ড্রোনটি নির্ভুল লক্ষ্যভেদের মাধ্যমে আকাশেই বিধ্বস্ত করে। সাম্প্রতিক বছরসমূহে তুরস্কের প্রতিরক্ষা ও বিমান চলাচল কোম্পানিগুলো গবেষণা ও উন্নয়নে তাৎপর্যপূর্ণ অগ্রগতি অর্জন করেছে। একই সাথে সাফল্য অর্জন করেছে উৎপাদন ও রপ্তানিতে।
২০১৯ সালের নভেম্বর মাসে বজদোগান ক্ষেপণাস্ত্রের ‘গাইডেড লঞ্চ প্যাড টেস্ট সম্পন্ন হয়। এরপর এয়ার লঞ্চ অর্থাৎ আকাশে পরীক্ষা শেষে ক্ষেপণাস্ত্রটি তুরস্ক সশস্ত্র বাহিনীর হাতে হস্তান্তর এবং সামরিক এয়ারক্রাফটে সংযুক্তির সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
সায়েন্টিফির এন্ড টেকনোলজিক্যাল রিসার্চ কাউন্সিল অব ডিফেন্স টার্কি-এর ডিফেন্স ইন্ড্রাষ্টিজ রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলাপমেন্ট ইনস্টিটিউট গকতুগ প্রকল্প পরিচালনা করছে। এই প্রকল্পে বজদোগানের পাশাপাশি দৃশ্যমান রেন্জের বাইরে আকাশ থেকে আকাশে লক্ষ্যভেদে সক্ষম অপর একটি ক্ষেপণাস্ত্রের উন্নয়ন সাধনের কাজ চলছে। এই ক্ষেপণাস্ত্রটি হচ্ছে বেয়ন্ড ভিজ্যুয়াল রেন্জ এয়ার টু এয়ার মিসাইল।
২০১৩ সালে এসএজিই আকাশ থেকে আকাশে নিক্ষেপণযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র নিয়ে কাজ শুরু করে। এটা গকডগান নামক স্বল্পপাল্লার উচ্চ তৎপরতাযুক্ত, ইনফ্রা-রেড সন্ধানী এবং বজদোগান নামক দীর্ঘ পাল্লার সক্রিয় রাডার সন্ধানী ক্ষেপণাস্ত্রের উন্নয়ন সাধন করে।
উভয় ক্ষেপণাস্ত্রই প্রথমে ভূমি থেকে নিক্ষেপ করা হয়। এতে ব্যবহৃত হয়েছে হাই থ্রাস্ট-লো স্মোক সলিড জ্বালানি ইঞ্জিন, একটি পূর্ণাঙ্গ ইলেকট্রনিক রকেট ইঞ্জিন সেইফ স্টার্ট এবং নিরাপদ ও নির্ভরযোগ্য ইগনিশন সিস্টেম। উভয় ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা সম্পন্ন হয় তুরস্কের উত্তরাঞ্চলীয় ব্ল্যাক-সী প্রদেশের সিনোপে। গত বছর জানুয়ারী মাসে পূর্ণাঙ্গ লক্ষ্যবস্তু ব্যবহারের মাধ্যমে গকদোগানের পরীক্ষা সাফল্যের সাথে সম্পন্ন হয়।
#Video | #Turkey becomes 1 of few countries with air-to-air missile
Air-to-air in-sight #missile Bozdogan, developed in Goktug project, hit target with first shot, says @RTErdogan pic.twitter.com/ubV9khdFoC
— ANADOLU AGENCY (ENG) (@anadoluagency) April 14, 2021