বিশ্ব জয় করেছে তুরস্কের ড্রোন
বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে তুরস্কের সশস্ত্র ড্রোনের প্রশংসা করেছে স্পেনও। সম্প্রতি স্পেনের একটি গণ-মাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তুরস্কের ড্রোন যুদ্ধের গতি-প্রকৃতি বদলে দিতে পারে। বর্তমানে বিশ্বের বিভিন্ন সঙ্ঘাতে তুরস্কের ড্রোনগুলো ব্যাপক ভ‚মিকা রাখায় এ মন্তব্য করা হয়।
একটি স্প্যানিস গণমাধ্যমের একটি নতুন রিপোর্টে বলা হয়েছে, ‘তুরস্কের ড্রোনগুলো বিশ্ব জয় করেছে।’ স্প্যানিস সংবাদপত্র এল পেরিওডিকো তাদের প্রতিবেদনে তুর্কি ড্রোনের প্রশংসা করে এ প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এ প্রতিবেদনের লেখক বলেছেন, তুরস্কের জঙ্গি ড্রোনগুলো আসাদ বাহিনীর আক্রমণকে মাত্র কয়েক দিনের মধ্যে প্রতিহত করেছে।
এ প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, তুরস্কের ড্রোনগুলো লিবিয়ার যুদ্ধবাজ নেতা খলিফা হাফতারকে বাধ্য করেছে যুদ্ধ-বিরতি চুক্তিতে সই করতে। এর মাধ্যমে যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশটিতে সঙ্ঘাত থেমে যায়। কয়েক ডজন রাশিয়ান বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস হয়েছে এ ড্রোনের মাধ্যমে। এছাড়াও বিপুল সংখ্যক ট্যাংক ও কামান ধ্বংস করে এ ড্রোনগুলো। তুরস্কে সাফল্যের পিছনে এ ড্রোনগুলোই ছিল গোপন অস্ত্র। এ ড্রোনগুলো যুদ্ধের প্রধান অস্ত্র হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে। এ যুদ্ধগুলোতে ড্রোনের চাতুর্যপূর্ণ ব্যবহার হয়েছে বলেও বর্ণানা করা হয়েছে এ নিবন্ধে।
নাভার্রা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর মিচেল টানছুম বলেন, ‘তুরস্কের এ ড্রোনব্যবস্থা খুবই কার্যকর কারণ তারা নিখুঁত ভাবে আঘাত হানতে পারে এমন ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা (গাইডেড প্রজেক্টাইল) ব্যবহার করে। এছাড়া এ ড্রোনগুলোতে ইলেকট্রনিক যুদ্ধ ব্যবস্থাও সংযুক্ত করা হয়েছে। এ রিপোর্টে এ কথাও বলা হয় যে কিভাবে তুরস্কের বায়রাকতার টিবি-২ ড্রোন কারাবাখ যুদ্ধে আজারবাইজানকে ব্যাপক সাফল্য এনে দিয়েছিল।
এ প্রতিবেদন সমাপ্ত করা হয় এ কথা বলে যে ড্রোনগুলোকে তুরস্ক এমন দক্ষতার সাথে ব্যবহার করেছে যে এর মাধ্যমে প্রচলিত যুদ্ধের ধারণাই বদলে গেছে। তুরস্কের ড্রোন ব্যবহারের কৌশল সমগ্র বিশ্বব্যাপী প্রশংসা পেয়েছে। এর মাধ্যমে বিভিন্ন দেশ উদ্বুদ্ধ হয়েছে তাদের নিরাপত্তা ব্যাবস্থার কৌশলকে তুরস্কের সা¤প্রতিক সাফল্যের আলোকে পুনর্র্নিমাণ করার জন্য। সিরিয়া, লিবিয়া ও নাগরনো-কারাবাখ যুদ্ধের গতি-প্রকৃতি বদলে দেয়ার ক্ষেত্রে তুরস্কের সামরিক কৌশলের সফলতার কারণেই অন্য দেশগুলো এ দেশটিকে অনুসরণ করছে বলে বিশ্লেষকরা মন্তব্য করেছেন। তুরস্কের এ বায়রাকতার টিবি-২ জঙ্গি ড্রোন উদ্ভাবন ও উৎপাদন করেছে তুরস্কের প্রতিরক্ষা কোম্পানি বায়কার টেকনোলজি। তুরস্কের সেনাবাহিনী এ ডোন ২০১৫ সাল থেকে ব্যবহার করছে।