করোনায় প্রিমিয়ার ইন’র বার্ষিক ক্ষতি ১ বিলিয়ন পাউন্ড
প্রিমিয়ার ইন-এর মালিক হুইটব্রেড বার্ষিক ১ বিলিয়ন পাউন্ড ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন কভিড-১৯ লকডাউনের কারনে। পুরো বছর জুড়ে বিক্রি হ্রাস পাওয়ায় এটা হয়েছে। অবশ্য আতিথেয়তা গ্রুপ জানিয়েছে, উপকূলীয় ও পার্বত্য রিসোর্টসমূহে বুকিং বৃদ্ধি পেয়েছে।
চীফ এক্সিকিউটিভ অ্যালিসন ব্রিটটেইন বলেন, বছরটি গত ২৭৯ বছরের ইতিহাসে সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং বছরগুলোর একটি। করোকালীন সময়ে বীফিটার ও ব্রিউয়ার্স ফেয়ার পাব-রেস্টুরেন্ট চেইনসমূহসহ গ্রুপের ভেন্যুগুলো বন্ধ থাকায় আয় ৭১ শতাংশ অর্থ্যাৎ ৫৮৯ মিলিয়ন পাউন্ড হ্রাস পেয়েছে।
ব্যবসা না হওয়ায় গত ২৫ ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত বছরে ১ বিলিয়ন পাউন্ডেরও বেশী ক্ষতি হয়েছে। করোনা মহামারির কারনে হুইটব্রেডকে জার্মান একুইজিশন, সম্পত্তি, সরঞ্জাম ও অন্যান্য সম্পদের মূল্য হ্রাস করতে হয় এবং এটা বর্তমান ও ভবিষ্যত প্রবৃদ্ধির হারের ওপর প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে।
যুক্তরাজ্যের এই সর্ববৃহৎ হোটেল অপারেটর জানায়, এর যুক্তরাজ্যস্থ ৯২ শতাংশ হোটেল জরুরী ব্যবসায়িক ভ্রমনের প্রয়োজনে অতিথিদের জন্য খোলা রাখা হয়। তবে এর রেস্টুরেন্টগুলোতে অভ্যন্তরীন খাবার সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়। তাদের প্রত্যাশা, আগামী ১৭ মে থেকে হোটেল ও রেস্তোরাঁগুলো খুলতে সক্ষম হবে তারা। সরকারী পরিকল্পনা অনুসারে কভিডের বিধি নিষেধ তখন শিথিল করা হবে। তবে কোম্পানিটি ২০২৩ সালে আরো বড়ো ক্ষতির পূর্বাভাস দিয়েছে। কারন বর্তমানে জার্মানীতে তাদের ৩০ টি হোটেলের মধ্যে ১৮ টি খোলা রয়েছে আবশ্যকীয় ব্যবসা সংক্রান্ত ভ্রমনের জন্য। আরো ৪২ টি শাখা খোলার অপেক্ষায়। সংকট কাটাতে হুইটব্রেড গত জুনে বিনিয়োগকারীদের নিকট থেকে ১ বিলিয়ন পাউন্ড সংগ্রহ করেন এবং ১৫ হাজার চাকুরী ছাঁটাই করেন তিন বছরে ১০০ মিলিয়ন পাউন্ড সাশ্রয়ের অংশ হিসেবে। হুইটব্রেড আরো বলেন, যুক্তরাজ্যে ভ্যাকসিনেশন কর্মসূচীর মাধ্যমে সরকারী বিধিনিষেধ শিথিলের পরিকল্পনা রয়েছে। আমাদের প্রত্যাশা, গ্রীষ্মে অবকাশ খাতে ট্যুরিস্ট সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পাবে। দেশের ব্যবসায় বানিজ্যে ধকল কাটিয়ে ওঠার মাধ্যমে তা সম্ভব হবে।