ট্রাম্পের ব্যর্থ নীতি অনুসরণ না করার জন্য বরিস জনসনের প্রতি সতর্কবাণী
স্কটল্যান্ডের ফার্স্ট মিনিস্টার নিকোলা স্টার্জিওন এই বলে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের প্রতি সতর্কবাণী উচ্চারন করেছেন যে, স্বাধীনতার ব্যাপারে স্কটল্যান্ডের জনগনের অপর একটি গনভোটের ইচ্ছাকে যদি তিনি বন্ধ করেন, তবে তা হবে নির্বাচনে হেরে যাবার পর গনতন্ত্রের প্রতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের আচরণের শামিল।
৬ মে’র নির্বাচনের পূর্বে প্রদত্ত এক বিবৃতিতে স্কটল্যান্ডের ফার্স্ট মিনিস্টার বলেন, স্কটল্যান্ডকে তার নিজের ভবিষ্যত নির্ধারণে স্বাধীন হতে হবে এবং ওয়েস্ট মিনিস্টারের সরকার কর্তৃক তাদের গনতান্ত্রিক ইচ্ছা বাধাগ্রস্ত হবে না।
জনসন ও তার মন্ত্রীরা আরেকটি গনভোটের ধারনা প্রত্যাখ্যান করে বলেছেন, স্কটল্যান্ডের স্বাধীনতার বিরুদ্ধে ২০১৪ টি ভোট একটি প্রজন্মের জন্য বিষয়টির মীমাংসা করে দিয়েছে। কিন্তু এসএনপি বলেছেন, ব্রেক্সিট এবং মহামারি প্রেক্ষাপট মৌলিকভাবে বদলে দিয়েছে এবং স্কটল্যান্ডকে এককভাবে চলার বিষয়টিকে উজ্জীবিত করেছে।
স্টার্জিওন বলেন, ভোটারদের ইচ্ছার প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শনকে প্রত্যাখ্যান ট্রাম্পের কোন কাজে আসেনি এবং জনসন যদি তা অনুসরণ করেন, তবে তার জন্য এটা একই ধরনের বিপজ্জনক পদক্ষেপ নেয়ার শামিল হবে। তিনি আরো বলেন, মহামারি মোকাবেলা ও পুনরুদ্ধারের বিষয়টি প্রথমে আসা উচিত। তবে স্বাধীনতার প্রশ্নে একটি গনভোটের জন্য এই নির্বাচনের পর স্কটিশ পার্লামেন্টে যদি একটি সংখ্যাগরিষ্টতা আসে, তবে স্কটল্যান্ডকে অবশ্যই তার পুনরুদ্ধারের সুযোগ নিজের হাতে রাখার সুযোগ থাকতে হবে। সেটাকে বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা টিকবে না। এক্ষেত্রে তাদের আইনী ব্যবস্থা, যেমনটির পরামর্শ দেয়া হচ্ছে, হবে আদালতে একটি স্বাধীন ও সুষ্ঠু গনতান্ত্রিক নির্বাচনকে কার্যকরভাবে উল্টে দেয়ার জন্য আবেদন জানানো। তা হবে একজন প্রধানমন্ত্রীর জন্য একটি দুর্ভাগ্যজনক ব্যাপার। ডোনাল্ড ট্রাম্পের ক্ষেত্রে তা কাজে আসেনি। স্কটল্যান্ডের ভবিষ্যত অবশ্যই স্কটল্যান্ডের জনগন কর্র্তৃক নির্ধারিত হওয়া উচিত এবং তা হবে।
র্স্টাজিওন আরো বলেন, ব্রেক্সিট, স্কটল্যান্ডের অধিকাংশ মানুষ যার বিরোধীতা করেছিলো, এবং কভিডের পর স্কটল্যান্ডের জনগনের তাদের অর্থনীতি পুনর্গঠন এবং বিশ্বে তার অবস্থান গড়ে নেয়ার অধিকার অস্বীকার করা ওয়েস্ট মিনিস্টার কর্তৃপক্ষের জন্য হাস্যকর হবে।
গত সপ্তাহে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন নির্বাচনী প্রচারাভিযানের জন্য স্কটল্যান্ডে যাওয়ার পরিকল্পনা বাদ দেয়ার ফলে এই সন্দেহ জাগছে যে, স্কটিশ লেবার থেকে স্বাধীনতা বিরোধী ভোটারদের আকৃষ্টকরণের প্রচেষ্টা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বলে তার দল ভয় পাচ্ছে।