‘যুক্তরাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বর্ণবাদী’

ব্রিটেনের এক নেতৃস্থানীয় ভাইস চ্যান্সেলর যুক্তরাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে বর্ণবাদী বলে আখ্যায়িত করেছেন এবং বিশ্ববিদ্যালয়সমূহকে অশ্বেতাঙ্গ শিক্ষার্থীদের অধিকতর সহায়তা প্রদানের জন্য জোর দাবি জানিয়েছেন। ইউনিভার্সিটিজ ইউকে’র সভাপতি এবং ইউনিভার্সিটি অব ইষ্ট অ্যাংলিয়ার ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ডেভিড রিচার্ডসনের উপদেষ্টা গ্রুপ ক্যাম্পাসসমূহ থেকে বর্ণবাদী হয়রানি দূর করর আহ্বান জানিয়ে বলেন, সিস্টেমেটিক ইস্যুসমূহের প্রমান রয়েছে যেগুলো কৃষ্ণাঙ্গ ও সংখ্যালঘু নৃতাত্ত্বিক (বিএএমই) পটভূমির শিক্ষার্থীদের অনানুপাতিকভাবে ক্ষতি করছে।
ডেভিড রিচার্ডসন বলেন, মিশ্র অভিজ্ঞতা রয়েছে। তবে অনেকগুলোই ভালো নয়। এমন অনেক প্রমান রয়েছে, যেগুলো প্রাতিষ্ঠানিক বর্ণবাদী হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অব্যাহত পদ্ধতিগত বর্ণবাদের দিকে অঙ্গুলী নির্দেশ করে এবং আমি এই খাতের পক্ষ থেকে তা স্বীকার করেছি। তিনি বলেন, যখন সিস্টেমেটিক ইস্যুসমূহ রয়েছে তখন তারা জানায় তাদের অভিজ্ঞতা তাদের মনস্তাত্ত্বিক কল্যাণ এবং শিক্ষাগত কর্মকান্ডের ওপর তাৎপর্যপূর্ন প্রভাব ফেলেছে।
১৯ বছর বয়সী ১ম বর্ষের শিক্ষার্থী জ্যাক আদন বলে, ইউনিভার্সিটি অব মানচেষ্টার- এর নিরাপত্তা কর্মকর্তারা ‘দেখতে মাদক ব্যবসায়ীদের মতো লাগছে’ বলে তাকে অভিযুক্ত করেন। গত নভেম্বরে তারা তাকে একটি দেয়ালে ঠেসে ধরেন এবং তার পরিচয়পত্র দেখাতে বলেন। এই ঘটনায় ভাইস চ্যান্সেলর ন্যান্সি রথওয়েলের পদত্যাগের দাবি ওঠে। পরে তিনি আদনের নিকট লিখিতভাবে ক্ষমা প্রার্থনা করেন। জাতীয় টেলিভিশনে মিথ্যা দাবির জন্য তিনি ক্ষমা চান।
আদন বলে, যুক্তরাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বর্ণবাদী। আমি মনে করি, এটা সিস্টেমের মধ্যে নিহিত ও গ্রোথিত। এটা এমন নয় যে, এটা আসলেই প্রকাশ্য, প্রকাশ্য বর্ণবাদী। মানচেষ্টার ইউনিভার্সিটি বলেছে, সমতা, বৈচিত্র এবং আমাদের শিক্ষার্থী ও স্টাফদের সম্পৃক্তকরণে আমাদের উদ্যোগকে জোরদার করতে আমাদের তাৎপর্যপূর্ন তৎপরতা চলমান। আমরা এ ব্যাপারে একটি বিশাল অ্যাকশন প্ল্যান অর্থাৎ কর্ম পরিকল্পনা গ্রহন করেছি।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button