লন্ডন মেয়র নির্বাচন: আগাম জরিপে এগিয়ে সাদিক খান
লন্ডনের মেয়র পদে নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল আরও এক বছর আগেই। কিন্তু করোনাভাইরাসের কারণে সেটি পিছিয়ে চলতি বছরের ৬ মে নির্ধারণ করা হয়, অর্থাৎ নির্বাচন হতে মাত্র এক সপ্তাহ বাকি। এবারের নির্বাচনে লেবার পার্টি থেকে বর্তমান মেয়র সাদিক খান ছাড়াও বাকি প্রধান তিনটি দল কনজারভেটিভ পার্টির শাউন বেইলি, লিবারেল ডেমোক্রেটের লুইসা পোরিট, গ্রিন পার্টির সেইন বেরী মেয়র পদের জন্য লড়াই করছেন।
ব্রিটিশ গণমাধ্যম এক্সপ্রেসের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, এবারের নির্বাচনে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হবে সাদিক খানকে। ২০১৬ সালের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিগুলো পূরণ করতে না পারা এবং করোনাভাইরাস মোকাবিলায় ব্যর্থতার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এ ছাড়া কাউন্সিল ঘর বৃদ্ধি করতে না পারা, ট্যাক্সি খরচ বৃদ্ধি, ছুরি হামলার মতো ঘটনায় সমালোচনা পিছু ছাড়েনি তার, যা সাদিক খানকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলবে।
এক্সপ্রেসের ওই প্রতিবেদনে জানানো হয়, সমালোচনা থাকলেও নির্বাচন পূর্ব জরিপে এখন পর্যন্ত এগিয়ে আছেন বর্তমান মেয়র সাদিক খান। লন্ডনে লেবার পার্টি শক্তিশালী হওয়ায় এবং অভিবাসী ভোটারদের সমর্থন সাদিক খানকে এগিয়ে রাখবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
জরিপে দেখা যায়, নির্বাচনে সাদিক খান ৫১ শতাংশ, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দী কনজারভেটিভ পার্টির শাউন বেইলি ২৫ শতাংশ, লিবারেল ডেমোক্রেটের লুইসা পোরিট ৮ শতাংশ ও গ্রিন পার্টির সেইন বেরী ৬ শতাংশ ভোট পেতে পারেন। ভোট নিয়ে এই জরিপগুলো অনেকক্ষেত্রেই ভোটের দিনের ফলাফলের সঙ্গে প্রায় মিলে যায়।
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালে লন্ডনের ইতিহাসে প্রথম এশিয়ান বংশোদ্ভূত মেয়র হিসেবে নির্বাচিত হন সাদিক খান। শুধু তাই নয়, নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে লন্ডনের প্রথম মুসলিম মেয়র হিসেবেও ইতিহাসে স্থান করে নেন তিনি। পাকিস্থানি বংশোদ্ভূত সাদিক খানের বাবা লন্ডনে বাস ড্রাইভিংয়ের কাজ করতেন।