ইংল্যান্ডে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে সবচেয়ে বেশী ক্ষতিগ্রস্ত দক্ষিণ এশীয় কমিউনিটি
ইংল্যান্ডে দক্ষিণ এশীয় কমিউনিটিগুলো কভিড-১৯ সংক্রমণ, মারাত্মক রোগব্যাধি ও মৃত্যুর বড়ো ধরনের শিকার। বিজ্ঞানীদের মতে, করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময় অন্যান্য সংখ্যালঘু গোষ্ঠীর চেয়ে দক্ষিণ এশীয় কমিউনিটিগুলো বেশী ক্ষতিগ্রস্ত। গবেষকদের অভিমত, মহামারির প্রথম (ফেব্রুয়ারী,২০২০ থেকে সেপ্টেম্বর, ২০২০) এবং দ্বিতীয় (সেপ্টেম্বর, ২০২০ থেকে ডিসেম্বর, ২০২০) ঢেউয়ের মধ্যবর্তী সময়ে দক্ষিণ এশীয় পটভূমির লোকজনের মধ্যে এটা বিস্তৃত হয়েছে। যখন অধিকাংশ সংখ্যালঘু গোষ্ঠীগুলোর ক্ষেত্রে হাসপাতালে ভর্তি ও মৃত্যুর পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে তখনো দক্ষিণ এশীয় কমিউনিটি সমূহের অবনতি ঘটেছে এসব ক্ষেত্রে। ‘দ্য লেনসেট’ জার্নালে প্রকাশিত তথ্যে এটা প্রকাশিত হয়েছে।
১ কোটি ৭০ লাখ জনের ওপর পরিচালিত সমীক্ষায় এটা পরিলক্ষিত হয়। লন্ডন স্কুল অব হাইজিন এন্ড ট্রপিক্যাল মেডিসিন, ইউকে- এর ডাঃ রোহিনী মথুর বলেন, করোনার প্রথম ঢেউয়ের তুলনায় দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময় যদিও অধিকাংশ সংখ্যালঘু নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে উন্নতি পরিলক্ষিত হয়েছে, তখন দক্ষিণ এশীয় গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে বৈষম্য বৃদ্ধি পেয়েছে।
বিজ্ঞানীরা বলেন, দেহের ওজন, রক্তচাপ এবং অবনতিশীল স্বাস্থ্য সমস্যার মতো স্বাস্থ্যগত বিষয়ের পাশাপাশি গৃহস্থালীর আকার মহামারিতে দক্ষিণ এশীয় গোষ্ঠীগুলোর মৃত্যুর ক্ষেত্রে বৈষম্যের কিছু মূল কারণ হতে পারে। প্রাপ্ত তথ্যাবলীর ভিত্তিতে গবেষকরা কাঠামোগত অসুবিধা ও অসমতা কমানো এবং স্বাস্থ্য সেবার মানোন্নয়ন ও স্বাস্থ্যসেবা প্রাপ্তির সুযোগের সাথে দক্ষিণ এশীয় কমিউনিটিসমূহের সুযোগ সুবিধার উন্নয়নের লক্ষ্যে অধিকতর কর্মকৌশল গ্রহনের আহ্বান জানিয়েছেন। ডাঃ মথুর আরো বলেন, প্রাপ্ত প্রমাণাদির আলোকে দেখা যায়, সংখ্যালঘু নৃ-গোষ্ঠীসমূহের মধ্যে ভ্যাকসিন গ্রহনের সংখ্যা কম। তাই তাদের জড়িত করণে সাংস্কৃতিকভাবে যথাযথ ও অপবাদমুক্ত কৌশল গ্রহন করা গুরুত্বপূর্ণ।
ডান্ডি বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাঃ ড্যানিয়েল মোরেইলস এবং রয়েল ফ্রি লন্ডন এনএইচএস ফাউন্ডেশন ট্রাস্ট- এর ডাঃ সারাহ আলী বলেন, ভ্যাকসিন নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্ব মোকাবেলা না করা পর্যন্ত সংখ্যালঘু নৃ-গোষ্ঠীগুলো স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে বৈষম্য আরো বৃদ্ধি পেতে পারে।