সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণে এরদোগান-বাদশাহ সালমানের ফোনালাপ
সম্প্রতি তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়িপ এরদোগান ও সৌদী বাদশাহ সালমানের মধ্যে ফোনালাপ হয়েছে। গত মঙ্গলবার তুর্কী প্রেসিডেন্সী এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দুই নেতা তুরস্ক ও সৌদী আরবের সম্পর্ক নিয়ে মত বিনিময় করেছেন।
সাম্প্রতিক মাসগুলোতে আংকারা ও রিয়াদ এক দশক পর বিশেষভাবে ২০১৮ সালে ইস্তান্বুলের সৌদী কনসুলেটে ভিন্ন মতাবলম্বী সৌদী সাংবাদিক জামাল খাশোগীর হত্যাকান্ডের পর দু’দেশের মধ্যেকার ক্ষতিগ্রস্ত কুটনৈতিক সম্পর্ক স্বাভাবিক করার প্রচেষ্টা চালিয়েছে।
আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় খাশোগী হত্যাকান্ডের জন্য সৌদী কর্তৃপক্ষকে দোষারোপ করেছেন। অপরাধী হিসেবে ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের নাম উল্লেখ করেছে। খাশোগীর মৃতদেহবাশেষের সন্ধান পাওয়া যায়নি। খাশোগীর ঘটনা ছাড়াও ইসরাইলের সাথে সৌদী আরবের দহরম মহরম, মিশরের সামরিক অভ্যুত্থানে সমর্থন এবং লিবিয়া ও সিরিয়া প্রসঙ্গে আংকারা ও রিয়াদের ভিন্ন অবস্থানও বিরোধের কারণ।
টার্কিশ এক্সপোর্টাসেজ এসেমব্লি (টিআইএম) এর চলতি মাসের শুরুর দিকের উপাত্ত থেকে দেখা যায়, মার্চে সৌদী আরবে তুরস্কের পণ্য রফতানি ছিলো প্রায় শূণ্যের কোটায় এবং তা ছিলো মাত্র ১৯ মিলিয়ন ডলার। এক বছর আগের ২৯৮.২৩ মিলিয়ন ডলার থেকে ৯৩.৭ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। মার্চে অনেক ইন্ডাষ্ট্রিকে তাদের বিক্রি পুনর্বিন্যাস করতে হয়েছে। টিআইএম- এর ডাটায় দেখা যায়, বার্ষিক ভিত্তিতে প্রথম ৩ মাসে সৌদী আরবে তুরস্কের পণ্য রফতানি ৫৬ মিলিয়ন ডলার অর্থাৎ ৯৩ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। ২০২০ সালের জানুয়ারী-মার্চে তা ছিলো ৮১০.৬ মিলিয়ন ডলার। অনানুষ্ঠানিক অবরোধ এড়াতে অনেক তুর্কী রফতানিকারক খাদ্য ও কাপড়সহ অন্যান্য পণ্য সামগ্রী ভিন্ন পথে রফতানি করছে। আর তুর্কী সরকার সম্প্রতি জেনেভাস্থ ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের গুডস কাউন্সিলে বিষয়টি উত্থাপন করেছে।