বাংলাদেশে করোনার ভারতীয় ধরন শনাক্ত
বাংলাদেশে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট (ধরন) শনাক্ত হয়েছে। শনিবার (৮ মে) রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইডিসিআর) এ তথ্য জানিয়েছে। আইডিসিআর জানায়, রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের একটি নমুনা পরীক্ষায় এ ভারতীয় স্টেইন ধরা পড়েছে। যা জার্মানির গ্লোবাল ইনিশিয়েটিভ অন শেয়ারিং অল ইনফ্লুয়েঞ্জা ডাটাতে (জিএসআইডি) প্রকাশিত হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম গণমাধ্যমকে জানান, দেশে ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া গেছে। এ ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত রোগীরা ভারত থেকে ফিরেছেন। তারা চিকিৎসার জন্য ভারতে গিয়েছিলেন এবং বর্তমানে যশোরে অবস্থান করছেন।
এ প্রসঙ্গে আইইডিসিআরের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা এএসএম আলমগীর বলেন, `এভারকেয়ার হাসপাতালে একটি নমুনা পাওয়া গিয়েছে। সেটি আমি দেখেছি। আর ধরা পড়ছে বলেই এ ধরনের তথ্য তাদের ওয়েবসাইটে আপলোড করা হয়েছে।’
কয়জনের মধ্যে এরকম ধরন পাওয়া গেছে? -জানতে চাইলে তিনি বলেন, `এখন পর্যন্ত কয়জনের মধ্যে পাওয়া গেছে সেই সংখ্যাটা আমাদের কাছে আসেনি, তাই বলতে পারছি না।’
এদিকে স্বাস্থ্য অধিদফতর জানিয়েছে, ভারত থেকে দেশে ফেরার পর প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে থাকাদের মধ্যে ৬০ জন করোনা আক্রান্ত হয়ে ফিরেছেন। তবে তারা করোনার ভারতীয় ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত কি না সেটি জানতে আরও কিছুদিন সময় লাগবে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।
বৃহস্পতিবার (৬ মে) করোনা মহামারির পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য বুলেটিনে এসব তথ্য জানান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্র ড. রুবেদ আমিন।
তিনি জানান, করোনাভাইরাস প্রতিরোধে ও অন্যান্য দেশের শক্তিশালী ভ্যারিয়েন্টের প্রবেশ ঠেকাতে ১৯ এপ্রিল থেকে এ পর্যন্ত ১৬ হাজারের বেশি মানুষকে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।
রুবেদ আমিন বলেন, `দেশে ভারতের ডাবল ভ্যারিয়েন্টসহ অন্যান্য দেশের ভ্যারিয়েন্ট ঠেকাতে বেনাপোল থেকে আসা ১ হাজার ২৫২ জনকে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন করা হয়েছে, এর মধ্যে ৬০ জন করোনা আক্রান্ত হয়ে দেশে এসেছেন।’
স্বাস্থ্য অধিদফতর জানায়, আখাউড়া সীমান্ত দিয়ে দেশে আসা ৪৭ জনকেও আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। আকাশপথে ১৯ মে থেকে এ পর্যন্ত ১৪ হাজার ৮০০ জন এসেছেন। তাদের মধ্যে ৭ হাজার ৫১৪ জন প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন। বাকিদেরও কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করা হয়েছে।