এসাইলাম নীতি
ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্রীতি প্যাটেলের সমালোচনায় হাইকোর্টের বিচারক
হাইকোর্টের জনৈক বিচারক আদালতে ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্রীতি প্যাটেলের সমালোচনা করেছেন এবং বলেছেন, তিনি বিষয়টিকে চরম বিব্রতকর বলে বিবেচনা করছেন, যখন প্যাটেলের অফিসারদের একজন স্বীকার করেছেন যে, মহামারীর সময় হোম অফিস আশ্রয় প্রার্থীদের বাসস্হান নীতি পরিবর্তনে বেআইনিভাবে কাজ করছে।
মিঃ জাস্টিস গার্নহ্যাম গত বৃহস্পতিবার এই মর্মে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন যে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্রীতি প্যাটেল বৈধ কর্তৃত্ব ছাড়াই জনগণের অর্থ বিতরণ করে থাকতে পারেন। বিচারক এসাইলাম প্রার্থীদের সাথে সংশ্লিষ্ট ৪টি মামলার শুনানি গ্রহণ করছিলেন। মহামারিকালে কিছু প্রত্যাখ্যাত এসাইলাম প্রার্থীকে উচ্ছেদে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নীতিমালার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে এসব মামলা দায়ের করা হয়। শুনানিকালে হোম অফিসকে বাসস্থান নীতিমালার অংশ বিশেষ পরিবর্তনের দায়ে অভিযুক্ত করা হয়।
আদালতে প্রদত্ত এক সাক্ষ্য বিবরণীতে হোম অফিস বলে, সে সময়ে আমরা ক্ষমতার বিষয়টি কিংবা আমাদের সে ক্ষমতা আছে কি-না, তা বিবেচনা করিনি, যাকে আমরা প্রশাসনিক পরিবর্তন হিসেবে দেখেছি, তা বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে। জরুরি পরিস্থিতি মোকাবেলায় তা করতে হয়েছে এবং একই বাসস্থানে লোকজনকে রাখা ছিলো সে সময়কার চিন্তা ভাবনার বিষয়।
গার্নহ্যাম বলেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন যে, তিনি বৈধ কর্তৃত্ব ছাড়াই কাজ করছিলেন। এতে আমার মনে হয়, এটা আদালতে একটি গুরুতর উপস্থাপন, যদি তিনি তা বলে থাকেন। তিনি আরো বলেন যে, এটা ছিলো চরম বিব্রতকর যদি তা সত্য হয় যে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ক্ষমতা ছাড়াই কাজ করছিলেন, যখন তিনি জনগণের অর্থ বিতরণের জন্য সিস্টেম স্থাপন করেন, তিনি বৈধ কর্তৃত্ব ছাড়াই এরূপ করেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আইনজীবীর মাধ্যমে ইতোমধ্যে ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন বিচারকের কাছে।
হোম অফিসের জনৈক মুখপাত্র বলেন, মহামারি সময়কালীন ব্যর্থ এসাইলাম প্রার্থীরা বাসস্থান এবং আর্থিক সহায়তা পেয়েছে করদাতাদের অর্থে। বিধিনিষেধ শিথিল হলে এটাই ঠিক হবে যে, আমরা ঐসব ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে সহায়তা প্রত্যাহার করতে শুরু করবো, যারা দেশে ফিরতে সক্ষম কিন্তু ফিরতে চাইবে না।