হিজাব পরিহিতা নারীর প্রতি বৈষম্যের দায়ে কোম্পানীকে ৫০ হাজার ইউরো জরিমানা
হিজাব পরিহিতা জনৈক মুসলিম নারীর প্রতি বৈষম্য প্রদর্শনের দায়ে ব্রাসেলসের একটি কোম্পানীকে জরিমানা করা হয়েছে। লেবার কোর্ট উক্ত কোম্পানীকে ৫০ হাজার ইউরো জরিমানা করেছে।
উল্লেখ্য, ব্রাসেলস ভিত্তিক এনজিও ইউনিয়া উক্ত মহিলার বিষয়টি আদালত এবং হিউম্যান রাইটস লীগে (এলডিএইচ) নিয়ে যায়। তারা এই বলে যুক্তি দেখান যে, এসটিআইবি-এমআইভিএম কোম্পানী ২০১৫ এবং ২০১৬ সালে উক্ত মহিলাকে চাকুরী দিতে অস্বীকার করে, যদিও বিজ্ঞাপনের নীতিমালা অনুযায়ী আবশ্যকীয় টেকনিক্যাল দক্ষতা তার ছিলো। ইউনিয়া’র জনৈক সদস্য এলস কীটসম্যান বলেন, প্রকৃতপক্ষে, এর মানে হচ্ছে, আগের মতো তাকে আর বৈষম্যের শিকার হতে দেয়া হবে না। তিনি আদালতের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানান।
এলডিএইচ জানিয়েছে, অভিযুক্ত কোম্পানীটি ‘নিরপেক্ষতার নীতি’ অনুসরণ করে যার অর্থ হচ্ছে এর স্টাফরা দৃশ্যমান কোন ধর্মীয়, আদর্শিক কিংবা রাজনৈতিক প্রতীক বহন করতে পারবেন না। এই নীতিমালার আলোকে উক্ত নারীকে বলা হয়েছিলো, যদি তিনি কোম্পানীতে চাকুরী পেতে চান তবে হেড স্কার্ফ অপসারণ করতে হবে।
সাক্ষাতকারকালে উক্ত নারী তার প্রচলিত হেড স্কার্ফ পরিবর্তন করে মাথায় একটি টারবান বা আবরণ পরিধান করেন। কিন্তু সাক্ষাতকার গ্রহনকারীরা তাকে জানিয়ে দেন যে, যে কোন ভাবেই পরিধান করুন না কেনো, কোন ধরনের মস্তকাবরণ গ্রহনযোগ্য নয়। এরপর উক্ত নারীকে আর ডাকা হয়নি।
নিজেদের নীতির সপক্ষে কোম্পানিটি দাবি করে যে, তারা মাথার কাপড়ের জন্য উক্ত নারীকে প্রত্যাখ্যান করেনি। আদালত জানায়, কোম্পানিটি সমতার নীতি প্রয়োগ করেনি। বিচারক বলেন, এসটিআইবি-এসআইডিবি- এর তথাকথিত নিরপেক্ষ নীতি সমানভাবে ও ন্যায়সংগতভাবে পালিত হয়নি। নিয়োগদাতার অংশিদারিত্ব নিয়োগের নীতিকে কোন ধরনের বৈষম্যের লক্ষ্যে পরিচালনা করা উচিত নয়।
চলতি বছরের জানুয়ারীতে দেশটির বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে হেডস্কার্ফ ও অন্যান্য ধর্মীয় প্রতীক ব্যবহারের উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের বিষয়টি নিয়ে মুসলিম সম্প্রদায় আনন্দ ও উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে। সেদেশের ওয়ালোনিয়া অঞ্চলের কর্মকর্তাবৃন্দ কর্তৃক এই সিদ্ধান্তটি গৃহীত হয়।