বেআইনীভাবে ব্রিটিশ নাগরিকত্ব হারানো ব্যক্তি ৪ বছর পর মিলিত হলেন পরিবারের সাথে
বেআইনীভাবে নাগরিকত্ব কেড়ে নেয়ার পর বিদেশে আটকা পড়া জনৈক ব্রিটিশ নাগরিক যুক্তরাজ্যে ফিরে আসার পর পুলিশ ১০ দিন ধরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে পুলিশ তাকে ছেড়ে দিয়েছে বলে জানা গেছে। তিনি একজন ব্রিটিশ বাংলাদেশী।
আদালতের পরিভাষায় এন-থ্রি হিসেবে পরিচিত উক্ত ব্যক্তি সিরিয়া ভ্রমনের দরুন বাতিল হওয়া তার নাগরিকত্ব পুনরুদ্ধারে সফল হন। তিনি এই সরকারী সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে আইনী লড়াই পরিচালনা করেন। তিনি গত শুক্রবার তার স্ত্রী ও সন্তানদের সাথে মিলিত হন। প্রায় ৪ বছর পর তিনি তাদের সাথে মিলিত হন।
পুলিশ গত বুধবার ফ্রান্সের উত্তরাঞ্চলে ব্রিটিশ সীমান্তবর্তী এলাকায় তাকে গ্রেফতার করে এবং লন্ডনে নিয়ে আসে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য। লোকটিকে শুক্রবারও হেফাজতে রাখা হয়। কিন্তু কোন অভিযোগ আনা হয়নি তার বিরুদ্ধে। বরং কোন ধরনের অপকর্মের অভিযোগ থেকে তাকে অব্যাহতি দেয়ার উদ্যোগ নেয়া হয়। মামলার ৪ দিন পর আইন প্রয়োগকারী সংস্থার জনৈক কর্মকর্তা তাকে জিজ্ঞেস করেন, তিনি কোথায় ছিলেন। তিনি জানান, তিনি বাড়ি ফেরার জন্য অপেক্ষায় ছিলেন। তিনি অপেক্ষায় ছিলেন তার স্ত্রী ও সন্তানদের দেখার জন্য। তিনি তার মাকে দেখার জন্যও উদগ্রীব ছিলেন।
২০১৭ সালে তিনি নাগরিকত্ব হারান এবং মনে করা হয় তিনি একজন বাংলাদেশী নাগরিক। সে সময় তিনি তুরস্কে ছিলেন। তিনি জানান যে, তিনি সিরিয়া সংক্রান্ত ত্রাণ সহায়তা বিষয়ে জড়িত ছিলেন এবং নাগরিকত্ব হারানোর পূর্বে তিনি যুক্তরাজ্যে নিয়মিত যাওয়া আসা করতেন।
স্পেশিয়েল ইমিগ্রেশন অ্যাপিলস্ কমিটি (এসআইএসি) ২০১৮ সালে উক্ত ব্যক্তির নাগরিকত্ব পুরনরুদ্ধার করে। কমিটি সরকারের এই যুক্তি বাতিল করে যে, তিনি বাংলাদেশী নাগরিক। কমিটি তাকে রাষ্ট্রহীন করা যাবে না বলে যুক্তি দেখায়। সরকার এর বিরুদ্ধে আপীল করে। ২০১৯ সালে কোর্ট অব অ্যাপিল বিষয়টি পুনরায় খতিয়ে দেখার জন্য নির্দেশ দেয়। তখন উক্ত ব্যক্তি সুপ্রীম কোর্টে আপীল করেন। আপীলে রায় তার পক্ষে যায়। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্রীতি প্যাটেল ২০ এপ্রিল ফ্রান্সে তার কাছে চিঠি লিখে জানান যে, ভুলভাবে তার নাগরিকত্ব বাতিল করা হয়।