ফিলিস্তিনে বইছে রক্তের বন্যা

এবার গাজায় ট্যাংক হামলা ইসরাইলের, নিহত বেড়ে ১১৯

কারো আহ্বানে কর্ণপাত করছে না নেতানিয়াহু

ইহুদীবাদী ইসরাইলি বাহিনী এবার ফিলিস্তিনের গাজায় বিমান ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পাশাপাশি এবার ট্যাংক থেকে গোলাবর্ষণ শুরু করেছে। অব্যাহত হামলায় এখন পর্যন্ত ১১৯ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। নিহতদের ৩১ জন শিশু। আহত হয়েছেন ৮৩০ ফিলিস্তিনি। গাজায় ইসরাইলি হত্যাযজ্ঞের জবাবে রকেট হামলা অব্যাহত রেখেছে প্রতিরোধ সংগঠন হামাস ও ইসলামিক জিহাদ। এতে ইসরাইলে সাতজন নিহত হয়েছেন। এদিকে, লেবানন থেকে ইসরায়েইকে লক্ষ্য করে তিনটি রকেট ছোড়া হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির সংবাদমাধ্যম হারেৎজ। তবে রকেটগুলো গিয়ে সাগরে পড়েছে।

গাজায় হত্যাযজ্ঞের প্রতিবাদে পশ্চিমতীর এবং ইসরাইলের অভ্যন্তরেও প্রতিবাদ বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। সেখানে আরবরা ইসরাইলি বাহিনী ও সেটলারদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়েছে। ইহুদি সেটলাররা আরবদের বাসাবাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা ও অগ্নিসংযোগ করেছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
ইসরাইল ও গাজার পরিস্থিতি পর্যালোচনায় তৃতীয়বারের মতো শুক্রবার বৈঠকে বসতে যাচ্ছে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ। এর আগে দুইবার বৈঠকে বসলেও যৌথ বিবৃতি দিতে বাধা দেয় ইসরাইলের ঘনিষ্ঠ মিত্র যুক্তরাষ্ট্র। গত সোমবার তৃতীয় দিনের মতো মুসলিমদের প্রথম কিবলা আল-আকসা মসজিদে ঢুকে মুসল্লিদের ওপর তাণ্ডব চালায় ইসরাইলি বাহিনী। অবরুদ্ধ করে রাখা হয় মুসল্লিদের।
আল-আকসা মসজিদ থেকে অবরোধ তুলে নেওয়ার সময়সীমা বেঁধে দিয়ে রকেট হামলার হুমকি দেয় গাজার প্রতিরোধ সংগঠন হামাস। সেখান থেকে বাহিনী সরিয়ে না নিলে ইসরাইলে রকেট ছোড়ে সংগঠনটি।
ইসরাইলি উগ্রবাদীদের ‘জেরুজালেম দখল দিবস’ উদ্‌যাপন এবং শেখ জাররাহ এলাকা থেকে ফিলিস্তিনি বাসিন্দাদের উচ্ছেদ ঘিরে এ উত্তেজনার সূত্রপাত হয়। এরপর আল-আকসা মসজিদের মুসল্লিদের ওপর কয়েক দফা হামলা চালায় ইসরাইলি বাহিনী। এতে সাত শতাধিক মুসল্লি আহত হন।
এদিকে আন্তর্জাতিক মহল থেকে শান্ত থাকার আহ্বান জানানো হলেও একগুঁয়েমি দেখিয়ে নিরস্ত্র গাজাবাসীর ওপর যুদ্ধাস্ত্র দিয়ে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরাইল। রক্তের নেশায় মেতে উঠেছে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তার নিদের্শে গাজা উপত্যকায় রক্তের হোলি খেলছে ইসরাইলি বাহিনী। আকাশ থেকে বিমান হামলা চলছে। পদাতিক বাহিনী শেল নিক্ষেপ করছে। অবরুদ্ধ করে ফেলেছে গাজা’কে। কারো আহ্বানের প্রতি কর্ণপাত করছে না তারা। আজ শুক্রবারও অব্যাহতভাবে গাজায় বোমা হামলা চালানো হচ্ছে।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button