ব্রিটেনে আতঙ্ক বাড়াচ্ছে করোনার ভারতীয় প্রজাতি
স্বাভাবিক ছন্দে ফেরার প্রস্তুতি নিয়ে ফেলেছিল ব্রিটেন। স্কুল, কলেজ, রেস্তোরাঁ, অফিস বা জিম খুলে একদম স্বাভাবিক ছন্দে ফেরার পরিকল্পনা পাকা হয়ে গিয়েছিল। প্রস্তুতিও সেইমতো শুরু হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু ব্রিটেনের এই যাবতীয় প্রস্তুতিতে ব্যাঘাত ঘটাল করোনাভাইরাসের ভারতীয় প্রজাতি। শুক্রবার এই বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। আগামী সোমবার থেকে লকডাউন সংক্রান্ত সবরকম বিধিনিষেধ তুলে নেয়ার পরিকল্পনা করেছিল ব্রিটেন। সেই তারিখ পিছিয়ে করা হয়েছে ২১ জুন। জুন মাসেও তা করা যাবে কি-না তা নিয়ে সন্দিহান সেখানকার প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তারা।
যদিও জনসন বলছেন, ‘আমি বিশ্বাস করি না আমাদের পরিকল্পনা পিছিয়ে দেয়ার দরকার আছে। কিন্তু আমাদের এই পরিকল্পনায় বাধা হতে পারে করোনাভাইরাসের নতুন প্রজাতি। জনগণের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখেই আমরা সমস্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করব।’ ব্রিটেনে দেয়া টিকার উপরও দেশবাসীকে ভরসা রাখতে আহ্বান জানিয়েছেন জনসন।
পঞ্চাশোর্ধ্বদের দ্বিতীয় টিকা দেয়ার গতি আরো ত্বরান্বিত করা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। ইতোমধ্যেই ব্রিটেনে ৭০ শতাংশ বয়স্ক মানুষের টিকার প্রথম ডোজ নেয়া হয়ে গেছে। তার মধ্যে ৩৬ শতাংশ মানুষ দ্বিতীয় ডোজও নিয়ে নিয়েছেন। করোনার ভারতীয় প্রজাতিকে রুখতে টিকাকরণের উপরই জোর দিচ্ছে বরিস জনসন প্রশাসন।
করোনাভাইরাসের ভারতীয় প্রজাতি (বি১.৬১৭.২) ইতোমধ্যেই ছড়িয়েছে ব্রিটেনসহ একাধিক দেশে। বৃহস্পতিবার ইংল্যান্ডে এই প্রজাতিতে আক্রান্ত হয়েছেন এক হাজার ৩১৩ জন। বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন ব্রিটেনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। তারা জানিয়েছে, উত্তর–পশ্চিম ইংল্যান্ডে ভারতীয় প্রজাতির ভাইরাস দ্রুতগতিতে ছড়িয়ে পড়ছে। এই ভাইরাসের ছড়িয়ে পড়া রুখতে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।