‘দলের অভ্যন্তরীণ বিরোধ লেবার পার্টিকে ক্ষমতার বাইরে রেখে দেবে’
লেবার পার্টির ডেপুটি লিডার অ্যাঞ্জেলা রায়নার সতর্কবাণী উচ্চারণ করে বলেছেন যে, যদি দলের মধ্যে অন্তর্কলহ থাকে তবে লেবার পার্টিকে অনেক দীর্ঘকালের জন্য ক্ষমতার বাইরে থাকার ঝুঁকি নিতে হবে। দলের শীর্ষ পর্যায়ে তার ভূমিকা নিয়ে লেবার নেতা কেইর স্টার্মারের সাথে এক তিক্ত বিরোধের দিন কয়েক পর মিস রায়নার বলেন, বন্ধন ভেঙ্গে যায়নি, তবে লেবার নেতা যখন তখন আমাকে ক্ষুব্ধ করছেন।
সঞ্জীব গুপ্তের ইস্পাত সাম্রাজ্যের বিরুদ্ধে মারাত্মক দুর্নীতির অভিযোগ আনা এবং এর সাথে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরুনের প্রতিষ্ঠান গ্রীনসিল ক্যাপিটালের পক্ষে লবিয়িং-এর সম্পৃক্ততা বিষয়ে তদন্তের ঘোষণার পর রায়নারের সাথে স্টার্মারের এধরনের বিরোধ সৃষ্টি হয়েছে।
এদিকে ডেভিড ক্যামেরুন গ্রীনসিলে সম্পৃক্ত থাকার মধ্য দিয়ে ‘প্রধানমন্ত্রী’র পদমর্যাদাকে খাটো করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে। দু‘টি ভার্চুয়াল কমিটি এমপিদের সামনে হাজির হওয়ার বিষয়ে তাঁকে রেহাই দেয়া হয়নি। তিনি এ দিনটিকে বেদনাদায়ক বলে স্বীকার করেন। লেবার পার্টির এমপি সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে ঋষি সুনাকসহ মন্ত্রীদের কাছে প্রেরিত তার বার্তাগুলো লবিয়িং নয় বরং পশ্চাত অনুসরণের মতো বলে উল্লেখ করেন।
অ্যান্জেলা রায়নার আরো বলেন, ‘ম্যাগনোলিয়া পলিটিক্স’ ভোটারদের লেবার পার্টি থেকে দূরে ঠেলে দিচ্ছে। দীর্ঘদিন পর লোকজন অনুভব করছেন যে, রাজনীতিকরা যা শুনতে চান শুধু তা-ই তারা বলেন। কিংবা তারা ট্রাঙ্গুলেইট বা ‘ত্রিভুজীকরণের’ করার চেষ্টা করেন। তিনি আরও বলেন, জনগণ তাদের রাজনীতিবিদদের নিকট থেকে সত্যতা প্রত্যাশা করে।
ভ্যাকসিন মন্ত্রী নাদিম জাহাউই বলেন, আমি মনে করি, দুটি সিলেক্ট কমিটির সামনে এসে ডেভিড ক্যামেরুন ঠিক করেছেন এবং সরকার ও মন্ত্রীদের সাথে তার আচরণ সম্পর্কে খোলামেলা ও স্পষ্টতা তুলে ধরেছেন।
সাবেক রক্ষণশীল দলের নেতার সুনামহানি হয়েছে কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, স্পষ্টত: ছিলো তার জন্য বেদনাদায়ক সময় এবং একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে তা অতিক্রম করা সহজ ছিল না।