যুক্তরাজ্যে শ্রমিক সংকট প্রকট আকার ধারণ করেছে

করোনা মহামারি ও ব্রেক্সিটের দরুন বিদেশী শ্রমিকরা চলে যাওয়ায় যুক্তরাজ্যে শ্রমিক সংকট দেখা দিয়েছে। ইন্ডাষ্ট্রির পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, লকডাউন প্রত্যাহারের পর ব্রিটেনের নিয়োগদাতারা স্টাফ সংগ্রহে সংকটে পড়েছেন। চার্টার্ড ইনস্টিটিউট অব পারসোনেল এন্ড ডেভেলপমেন্ট (সিআইপিডি) এবং রিক্রুটমেন্ট ফার্ম ‘এডেক্কো’ সূত্রে প্রকাশ, নিয়োগদাতারা ৮ বছরের মধ্যে সবচেয়ে দ্রুত হারে স্টাফ সংগ্রহের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন। গত সোমবার ইংল্যান্ড ও ওয়েলসে মহামারির বিধিনিষেধ শিথিল হওয়ায় তারা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
তবে ভোক্তাদের দ্রুত ব্যয় বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে চাকুরীর বাজারে চাপ বৃদ্ধির লক্ষণ ফুটে ওঠেছে এবং এইচআর ও গণউন্নয়ন বলেছে, ইইউ শ্রমিকদের সংখ্যা মারাত্মকভাবে হ্রাস পাচ্ছে, এর ফলে শ্রমিক ঘাটতির ঝুঁকি সৃষ্টি হয়েছে।
আদজুনা’র একটি ভিন্ন পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, স্টাফ সংগ্রহের সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি পেয়েছে। হোটেল, রেস্তোঁরা এবং অবকাশ খাতে গত সপ্তাহে নিয়োগের সংখ্যা ১৮ শতাংশ বেড়েছে। তবে এই মর্মে সতর্কবাণী উচ্চারণ করা হয় যে, বিদেশী চাকুরী প্রার্থীদের আগ্রহে মারাত্মক হ্রাস লক্ষণীয়। জবস ওয়েবসাইটে দেখা যায়, পশ্চিম ইউরোপ ও দক্ষিন আমেরিকার চাকুরী সন্ধানকারীদের সংখ্যা ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারী থেকে অর্ধেকে নেমে এসেছে। মহামারি শুরুর ঠিক আগে থেকেই এটা দেখা গেছে। এতে বলা হয়েছে যে, চাকুরীর এই আগ্রহ বিশেষভাবে হ্রাস পেতে দেখা যাচ্ছে ঐসব খাতে, যেখানে মজুরী কম।
কিছু শহর ও নগরীতে প্রত্যেক চাকুরী অনুসন্ধাকারীর বিপরীতে ২০ টি পর্যন্ত চাকুরী খালি রয়েছে। গবেষণা অনুসারে কেন্টের মেইডস্টোন নিয়োগের ক্ষেত্রে সবচেয়ে কঠিন সমস্যয় রয়েছে। এরপরে রয়েছে মানচেস্টার, ক্যামব্রিজ এবং অক্সফোর্ড। জব সার্চ ইঞ্জিনের সহ-প্রতিষ্ঠাতা এন্ড্রু হান্টার বলেন, গত বছর উত্থান-পতনের পর অধিকতর নিরাপদ চাকুরীরর সন্ধানে আতিথেয়তা ও রিটেইল সেক্টরের অনেক শ্রমিক চাকুরী ছেড়ে চলে যাওয়ার ফলে স্টাফ সংগ্রহে তীব্র প্রতিযোগিতা দেখা দিয়েছে।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button