ট্রাফিক ভিকটিমকে জেলখানা সদৃশ হোটেল থেকে সরিয়ে নেয়ার নির্দেশ হাইকোর্টের
ব্রিটিশ হাইকোর্টের জনৈক বিচারক হোম অফিসকে নির্যাতন ও মানবপাচারের শিকার এক ব্যক্তিকে ৮ ফুট দেয়ালঘেরা জেলখানা সদৃশ হোটেল থেকে সরিয়ে নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। এএ সাংকেতিক নামযুক্ত জনৈক ব্যক্তিকে সরিয়ে নেয়ার জন্য হোম অফিস কর্মকর্তাদের ব্যর্থতার প্রেক্ষাপটে অন্তবর্তীকালীন প্রতিকার প্রার্থনা করেন উক্ত ব্যক্তি। তিনি হিথ্রো এয়ারপোর্টের নিকটে অবস্থিত ক্রাউন প্লাজা নামক হোটেল থেকে জরুরী ভিত্তিতে তাকে সরিয়ে নেয়ার আবেদন জানিয়ে আদালতে আবেদন করলে বিচারক কো কিউসি শুনানী শেষে এই নির্দেশ প্রদান করেন। বিচারক উক্ত ভিকটিমকে অধিকতর ভালো কোন থাকার জায়গা প্রদানের নির্দেশনা প্রদান করেন।
গত মঙ্গলবার প্রদত্ত এই আদেশকে এধরনের একটি প্রথম আদেশ বলে মনে করা হচ্ছে। আশা করা যাচ্ছে যে, এটা অন্যান্য পাচারের শিকার ব্যক্তিদের ক্ষেত্রেও সহায়ক হবে, যাদেরকে হোম অফিস অনুপযোগী স্থানে থাকার ব্যবস্থা করেছে।
বর্ণিত ভিকটিম ব্যক্তি কুয়েতে অমানবিক নির্যাতনের শিকার হয়ে তুরস্কে পালিয়ে আসে এবং এখানে মানবপাচারের ভিকটিমে পরিনত হয়। লোকটি পিঠসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে মারাত্মক ব্যথায় ভুগছিলো। এমনকি ২০ মিনিটের বেশী বসে থাকাও সম্ভব হচ্ছিল না তার পক্ষে, বেশিরভাগ সময় সে তার কক্ষের মেঝেতে শুয়েছিলো।
হোম অফিস জানায়, তারা লেইসেস্টারে লোকটির জন্য থাকার জায়গা পেয়েছিলো কিন্তু সে জানায় যে, কারে বসে এতো দীর্ঘ পথ পাড়ি দেয়া তার পক্ষে সম্ভব হবে না এমন শারীরিক অবস্থায়। আদালত জানতে পারে যে, ভীতিকর উচুঁ বেড়াযুক্ত, ব্যাগ তল্লাশী ও নিরাপত্তা প্রহরী বেষ্ঠিত ক্রাউন প্লাজা হোটেল একজন ট্রাফিক ভিকটিমের জন্য একটি উপযুক্ত পরিবেশ নয়।
এএ নামযুক্ত উক্ত ব্যক্তির প্রতিনিধি ক্রিস বাটলার বলেন, হোটেলটি প্রকাশ্যভাবেই তার মক্কেলের আরোগ্য লাভের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হয়েছে।