প্রীতি প্যাটেলের ডিজিটাল ভিসা পদ্ধতি চালু
ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্রীতি প্যাটেল যুক্তরাষ্ট্রের ন্যায় একটি ডিজিটাল ভিসা সিস্টেম চালু করেছেন। তার দাবি, এর মাধ্যমে যুক্তরাজ্যে প্রবেশকারী ও যুক্তরাজ্য থেকে বাইরে যাওয়া লোকজনের সঠিক হিসাব পাওয়া যাবে। যুক্তরাজ্যে প্রথমবারের মতো এধরনের পদ্ধতি চালু করা হয়েছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যেসব লোক আগামীতে কোন ভিসা ছাড়াই কিংবা ইমিগ্রেশন বৈধতা ছাড়া যুক্তরাজ্যে আসবেন, তাদেরকে একটি ইলেক্ট্রনিক ট্রাভেল অথোরাইজেশন (ইটিএ)- এর জন্য আবেদন করতে হবে। এটা স্বয়ংক্রিয়ভাবে আগেভাগেই জানিয়ে দেবে ঐ ভ্রমনকারী যোগ্য কি-না। হোম অফিসের ধারনা, প্রতি বছর প্রায় ৩ কোটি আবেদন দাখিল করা হবে এজন্য।
প্রীতি প্যাটেল যুক্তরাজ্যের আশ্রয় ও ইমিগ্রেশন সিস্টেমকে ব্যাপক পরিকল্পনার অধীনে পরিবর্তনের অংশ হিসেবে এবং সীমান্তকে জিজিটাইজ করার লক্ষ্যে গত সোমবার এটা আনুষ্ঠানিকভাবে চালু করা হয়। এর সমালোচকরা তার পরিকল্পনাকে আশ্রয়প্রার্থীদের বহিষ্কার করার পরিকল্পনা হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন।
দীর্ঘ প্রতীক্ষিত অভিবাসন সংক্রান্ত ডাটার পরিসংখ্যান ত্রুটিপূর্ণ থাকার বিষয়টি সাম্প্রতিক প্রমানাদি থেকে প্রতীয়মান হওয়ায় এই পদ্ধতি চালু করা হচ্ছে বলে সরকারের দাবি। এটা ব্যাপকভাবে স্বীকৃত যে, যুক্তরাজ্যে ৩০ লাখ ইউরোপীয়র বসবাস এবং তারা সরকারের ইইউ সেটেলমেন্ট স্কীমে আবেদন করার কথা। তবে এই স্কীমে দাখিলকৃত গত মাসের শেষে ৫৪ লাখ আবেদন গৃহীত হয়, যার ৪৯ লাখেরই সেটেলমেন্ট স্ট্যাটাস অর্থাৎ বসবাসের অধিকার মঞ্জুর করা হয়েছে।
অনেকের মতে, প্রীতি প্যাটেল তার সর্বশেষ ইমিগ্রেশন প্ল্যান বাস্তবায়নের মাধ্যমে এসাইলাম সিস্টেমের ওপর আবারো চাপ সৃষ্টি করবেন। অনেকে তার পরিকল্পনাকে আইনত: অকার্যকর বলে আখ্যায়িত করে বলেন, এগুলো বৈশ্বিকভাবে যুক্তরাজ্যের বিশ্বাসযোগ্যতাকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে।
হোম অফিসের দাবি, এই নতুন পরিকল্পনার অধীনে ২০২৫ সালের মধ্যে যুক্তরাজ্যে প্রবেশের বিষয়টিকে পুরোপুরি ডিজিটাল করে তোলা হবে।