সহস্রাধিক এসাইলাম প্রার্থীকে ফেরত পাঠানোর চিন্তা-ভাবনা
যুক্তরাজ্যের দেড় সহস্রাধিক এসাইলাম প্রার্থীকে ইউরোপে বহিষ্কারের কথা বিবেচনা করা হচ্ছে। এটা বিবেচনা করা হচ্ছে এই যুক্তিতে যে, তারা হয়তো তাদের ভ্রমনকালে মহাদেশব্যাপী সফর করেছেন, যদিও এদেরকে ফেরত পাঠানো বাস্তবায়নে হোম অফিসের কোন মেকানিজম বা কর্মপন্থা নেই।
নতুন সরকারী উপাত্তে দেখা যায়, ১৫০৩ জন লোকের মধ্যে প্রতি ৪ জনে একজন ২০২১ সালের প্রথম তিন মাসে ব্রিটেনে আসেন। তাদেরকে জানানো হয়েছে যে, তাদের এসাইলাম দাবি বিবেচনা করা হচ্ছে না, যেহেতু হোম অফিস তাদের বহিষ্কারের পদক্ষেপকে অপ্রবেশযোগ্যতার নিরিখে যথাযথ এবং সম্ভব কি-না এটা নির্ধারন করছেন। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী প্রীতি প্যাটেল গত মার্চে অবৈধ পথে ব্রিটেনে আসা শরনার্থীদের আপনা-আপনি এসাইলামের অধিকারী হওয়ার বিষয়টি অস্বীকারের এবং এর পরিবর্তে যুক্তরাজ্যে আসার পথে ভ্রমন করে আসা নিরাপদ দেশসমূহে বলপূর্বক বহিষ্কারের পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করেন। এসব দেশ সাধারনত: ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত।
তিনি বলেন, হোম অফিস ডাবলিন বিধিমালা প্রতিস্থাপন করতে আগ্রহী যার বলে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোতে এসাইলাম প্রার্থীদের ফেরত প্রেরণের অনুমতি রয়েছে, যখন ব্রিটেন ব্লকটির অংশ ছিলো দ্বিপাক্ষিক ফেরত প্রদান ব্যবস্থাপনাসহ।
জানা গেছে, ফ্রান্স, জার্মানী, নেদারল্যান্ডস, বেলজিয়াম ও সুইডেনসহ বেশ কিছু ইইউভুক্ত দেশ ব্রিটেনের সাথে দ্বিপাক্ষিক চুক্তি করতে আগ্রহী নয়। অবশ্য পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, একই সময়ে অপ্রবেশযোগ্যতার যুক্তিতে কাউকে ফেরত পাঠানো হয়নি। হোম অফিসের নতুন অপ্রবেশযোগ্যতা সংক্রান্ত নীতির দিক নির্দেশনায় বলা হয়েছে যে, হোম অফিস এসাইলাম প্রার্থীর দাবির ৬ মাসের মধ্যে তাকে ফেরত পাঠনোর ব্যবস্থাপনার উদ্যোগ নেবে এবং যদি ব্যর্থ হয়, তবে যুক্তরাজ্যে তাদের দাবি তারা বিবেচনা করবেন।
রিফিউজি অ্যাকশন- এর প্রধান নির্বাহী টিম নাওরম হিলটন বলেন, নতুন নীতিমালা কাজ করছে না এবং এগুলো শীতল-হৃদয়। একটি দেশে একজন শরণার্থী কীভাবে প্রবেশ করেছে তার জন্য দন্ডপ্রদান বেআইনী এবং শরনার্থী বিষয়ক চুক্তিতে দুই আঙ্গুল রাখার শামিল।