ইংল্যান্ডের বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের ফী মওকুফের দাবি
ইংল্যান্ডের বিশ্ববিদ্যালয় সমূহের শিক্ষার্থীরা কভিড মহামারির দরুন পড়াশোনায় বিঘ্ন ঘটায় তাদের ট্যুইশন ফী হ্রাসের দাবি জানিয়েছেন। লন্ডন স্কুল অব ইকোনোমিক্স এবং ইউনিভার্সিটি অব শেফিল্ড- এর একদল শিক্ষার্থী ব্রিটিশ শিক্ষামন্ত্রী গোভিন উইলিয়ামসন এবং বিশ্ববিদ্যালয় বিষয়ক মন্ত্রী মিচেল ডোনেলানকে লিখিত এক চিঠিতে এই মর্মে একটি প্রস্তাব দিয়েছেন। এতে তারা চলতি বছর সকল শিক্ষার্থীর ট্যুইশন ফী ৩০ শতাংশ মওকুফের দাবি জানিয়েছেন। তারা শিক্ষা ঋণের সুদের হার ৩ শতাংশ থেকে ৬.২ শতাংশ বৃদ্ধিরও প্রস্তাব দিয়েছেন, যা উচ্চ উপার্জনকারী গ্রাজুয়েটগন কর্তৃক পরিশোধিত হবে।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, আমরা কভিডে ক্ষতিগ্রস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সহপাঠীদের জন্য অবিলম্বে আর্থিক ন্যায় বিচারের আবেদন জানাচ্ছি। একটি আদর্শ বিশ্বে শিক্ষা ফ্রি হওয়া উচিত। তবে একটি বছরে যখন শিক্ষার্থীদেরকে তাদের ফীর ওপর ক্ষতিপূরণ প্রদানের আহ্বান জানানো হচ্ছে, তখন আমরা ট্যুইশন ফী এডজাস্ট করার জন্য একটি আর্থিক সমাধান করেছি একটি ওয়ান-আপ পরিশোধের বিষয়টি সমর্থনের মাধ্যমে।
গ্রুপটির অভিমত হচ্ছে, শিক্ষার্থীদের ঋণের ওপর সুদ বৃদ্ধির অর্থ হচ্ছে শিক্ষার্থীদের ৩০ শতাংশ ফী মওকুফের সুযোগ সৃষ্টি। এই সুদ বৃদ্ধিতে পাওয়া যাবে ১ বিলিয়ন পাউন্ড, যা উচ্চ উপার্জনকারী গ্রাজুয়েটদের পরিশোধ করতে হবে। কারন গ্রাজুয়েট কিংবা ক্ষুদ্র আয়ের গ্রাজুয়েটদের ক্ষেত্রে ৩০ বছর পর ঋণ বাতিল করা হয়।
মহামারির দরুন অধিকাংশ শিক্ষার্থী শরৎকালের শেষ থেকে ১৭ মে পর্যন্ত ক্যাম্পাসে যেতে পারেনি। তাই তারা শারীরিকভাবে উপস্থিত থেকে শিক্ষাগ্রহনের সুযোগ থেকে শিক্ষাগ্রহণের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়েছে। এসময় তারা লাইব্রেরী, সামাজিক ও সিলেবাস বহির্ভূত কর্মকান্ডেও অংশগ্রহন করতে পারেনি। এছাড়া অনেক শিক্ষার্থী আবাসিক হলের কক্ষ এবং ফ্লাটে প্রবেশে অক্ষম হয়ে হতাশ হয়, যার জন্য ইতোমধ্যে তাদের ফী দিতে হয়েছে।
চিঠিতে লন্ডনের এলএসই, ইউসিএল, কিংস কলেজ ও কুইন মেরী, বেলফাস্টের কুইন্স ইউনিভার্সিটি এবং এক্সটার, এডিনবার্গ, লিভারপুল, লীডস, ইয়র্ক, গ্লাসগো ডুরহ্যাম, মানচেষ্টার, কার্ডিফ, ওয়েলস ও উত্তর আয়ারল্যান্ডের বিশ্ববিদ্যালয় সমূহের ১৭ টি স্টুডেন্টস্ ইউনিয়ন স্বাক্ষর প্রদান করেছে।