ব্রিটেনে উচ্ছেদের আশংকায় ৮ লাখ ভাড়াটে
এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, ইংল্যান্ড ও ওয়েলসে ৮ লাখেরও বেশী ভাড়াটে গৃহ থেকে উচ্ছেদের আশংকায় আছেন। সোমবার থেকে বাড়ির মালিকেরা ৬ মাসের নোটিশ ছাড়াই উচ্ছেদের আইনী প্রক্রিয়া শুরু করতে পারবেন। উচ্ছেদ বন্ধ করে সরকারের দেয়া নির্দেশনার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় এখন থেকে বাড়িওয়ালারা ভাড়াটেদের উচ্ছেদ করতে পারবেন। ইতোপূর্বে মহামারির কারনে ৩ মাসের জন্য ভাড়াটেদের উচ্ছেদ বন্ধের নির্দেশ দেয় সরকার। এটা ৩ মাস বহাল ছিলো। পরে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ দেখা দিলে মেয়াদ বর্ধিত করা হয়, যা এখন শেষ হয়ে গেছে।
সরকার এই মর্মে নিশ্চিত করেছে যে, বেইলীফস্ও এখন থেকে বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো সম্পত্তি পুনরায় দখলে তিনি পারবে। জোসেফ রাউনট্রি ফাউন্ডেশন জানিয়েছেন, ৪ লাখ ভাড়াটেকে ইতোমধ্যে উচ্ছেদের নোটিশ দেয়া হয়েছে কিংবা বলা হয়েছে যে, তাদেরকে উচ্ছেদ করা হবে।
ফাউন্ডেশন আরো বলে, এছাড়া ভাড়া বকেয়া হওয়ায় আরো ৪ লাখ ভাড়াটে উচ্ছেদের ঝুঁকিতে রয়েছেন। জেআরএফ- এর র্যাচেল ইয়ারওয়েকার বলেন, ৪৫ হাজার পরিবার ভাড়া ঋণে বন্দী। বকেয়া বড়ো অংকের হওয়ায় পরিবারগুলো ভাড়া পরিশোধে মুশকিলে পড়েছে। এ অবস্থায় অনেকে গোপনে ধারকর্জ করতে বাধ্য হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, এটা শুধু গভীর অন্যায়ই নয় বরং অর্থনৈতিক দুর্বলতা, যা অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারকে বিঘিœত হওয়ার ঝুঁকি সৃষ্টি করেছে এবং পুনরায় সব কিছু খুলে যাওয়ায় প্রক্রিয়া শুরু হওয়ায়, এটা গৃহস্থালীর ব্যয় বৃদ্ধি করছে। বিত্তবান বাড়ির মালিকদের স্টাম্প ডিউটি মওকুফের উদার কর সুবিধা প্রদানের সরকারী সিদ্ধান্ত দেয়া হয়েছে। এতে মহামারির আগে যারা সমৃদ্ধি অর্জন করেছিলো তাদের সমৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে। কিন্তু যারা মহামারির ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তাদের অবস্থা আরো খারাপ হয়ে পড়বে।
তিনি বলেন, বকেয়া ভাড়া মোকাবেলায় সহায়তা বৃদ্ধির ব্যয়, স্ট্যাম্প ডিউটি মওকুফের খরচের একটি ভগ্নাংশ মাত্র।