লন্ডন পুলিশ কর্মকর্তার অপহরণ ও ধর্ষনের অপরাধ স্বীকার

লন্ডন মেট্রোপলিটন পুলিশের জনৈক কর্মকর্তা একজন মহিলাকে অপহরণ ও ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছেন। ভিকটিম মহিলার নাম সারাহ এভারার্ড (৩৩)। সপ্তাহ খানেক আগে তিনি নিখোঁজ হন। পরে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। অপরাধ স্বীকারকারী পুলিশ কর্মকর্তার নাম পিসি ওয়েইন কাউজেন্স। তিনি ওল্ড বেইলী হিসেবে পরিচিত সেন্ট্রাল ক্রিমিনাল কোর্টে হাজির হলে সেখানে তাকে আটক রাখা হয়েছে। কাউজেন্স ধর্ষণের একটি সেকেন্ড চার্জের অপরাধ স্বীকার করেছেন এবং ভিকটিমের মৃত্যুর দায় মেনে নিয়েছেন। তবে তিনি তাকে হত্যার কথা স্বীকার করেননি।
অ্যাশফোর্ডের উইলিয়াম হার্ভে হসপিটালে সারাহ এভারার্ডের মরদেহের ময়না তদন্ত সম্পন্ন হয়। এতে তার মৃত্যুর কারণ হিসেবে ঘাড়ে চাপ সৃষ্টির কথা উল্লেখ করা হয়েছে। লন্ডনে একজন মার্কেটিং এক্সিকিউটিভ হিসেবে কর্মরত সারাহ গত ৩ মার্চ নিখোঁজ হন। সপ্তাহব্যাপী অনুসন্ধানের পর পুলিশ কেন্টে তার মৃতদেহ খুঁজে পায়।
এভারার্ডের নিখোঁজ হওয়ার পর পুলিশ অপহরনকারী সন্দেহে কাউজেন্সকে গ্রেফতার করে। পরে মৃতদেহ উদ্ধার হলে তার বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ আনা হয়। ১১ মার্চ থেকে কাউজেন্স হেফাজতে আটক রয়েছেন। এভারার্ডের অপহরন, ধর্ষণ ও হত্যাকান্ড যুক্তরাজ্যে নারী নিপীড়নের বিরুদ্ধে ব্যাপক ক্ষোভ সৃষ্টি করেছে। ফলে বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিক্ষোভে অংশ নেয়া লোকজনকে ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ সহিংস আচরণ করেছে বলে অভিযোগ ওঠেছে।
পরিবার জানায়, সারাহ সপ্রতিভ, সুন্দর- একজন আশ্চর্য মেয়ে ও বোন ছিলো। সে ছিলো দয়ালু ও চিন্তাশীল, যত্নবান ও নির্ভরযোগ্য। সে সবসময় অপরকে অগ্রাধিকার দিতো এবং তার রসবোধ ছিলো চমৎকার।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button