ইংল্যান্ডে অর্ধকোটি লোক রুটিন চিকিৎসার জন্য অপেক্ষমাণ
ইংল্যান্ডের হাসপাতালে রুটিন অর্থাৎ নিয়ম মাফিক চিকিৎসা গ্রহনের জন্য অপেক্ষমাণ মানুষের তালিকাটি রেকর্ড সংখ্যা অর্ধ কোটি অতিক্রম করেছে। নতুন পরিসংখ্যানে দেখা গেছে ২৭০০ রোগী ২ বছরের বেশী সময় ধরে অপেক্ষা করছেন ডাক্তার দেখানোর জন্য। মোট ৫১ লাখ ২০ হাজার রোগী ২০২১ সালের এপ্রিলের শেষ ভাগ থেকে চিকিৎসা লাভের অপেক্ষায় আছেন। এনএইচএস- এর এক সাম্প্রতিক উপাত্ত থেকে এটা জানা গেছে। ২০০৭ সালের আগষ্টে রেকর্ড শুরুর পর থেকে এই সংখ্যা সর্ব্বোচ্চ।
১ বছরেরও বেশী সময় যাবৎ চিকিৎসা শুরুর জন্য অপেক্ষমান রোগীর সংখ্যা ২০২১ সালের এপ্রিলে ছিলো ৩৮৫৪৬৯০ জন। এ সংখ্যা এর আগের মাসের তুলনায় কম। তখন অর্থাৎ মে মাসে ছিলো ৪৩৬১২৭ জন। এই প্রথমবারের মতো এনএইচএস ইংল্যান্ড চিকিৎসার জন্য ১ বছরের বেশী সময় ধরে অপেক্ষমান রোগীর সংখ্যা পরিসংখ্যানে অন্তর্ভুক্ত করেছে। তাদের হিসাব অনুযায়ী ১৮ মাস কিংবা এরচেয়েও বেশী সময় যাবৎ অপেক্ষমান রোগীর সংখ্যা ৬৪৯৫৯ জন এবং ২ বছরের বেশী ধরে অপেক্ষমান রোগীর সংখ্যা ২৭২২ জন। নতুন উপাত্ত অনুযায়ী, অপেক্ষমান তালিকায় অনেক জরুরী রোগী রয়েছেন, যাদেরকে ১ মাসের মধ্যে চিকিৎসা না দিলে তাদের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ হারানো এমনকি মৃত্যুর ঝুঁকিও রয়েছে।
গত ফেব্রুয়ারী ও এপ্রিলের মধ্যবর্তী সময়ে হসপিটাল ট্রাস্টের উপাত্তে দেখা গেছে, এ ধরনের অগ্রাধিকারী পাবার যোগ্য ১ মাস যাবৎ অপেক্ষমান রোগীর সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। একটি ট্রাস্ট জানায়, তাদের কাছে ১ মাস যাবৎ অপেক্ষমান এ ধরনের ৯৫৫ জন জরুরী রোগী রয়েছেন। এদের মধ্যে ৫৯ জন ১২ সপ্তাহ কিংবা তার চেয়েও বেশী এবং ১৬০ জন ১ বছরেরও বেশী সময় ধরে অপেক্ষা করছেন।
এনএইচএস ইংল্যান্ড বলেছে, মহামারির পর এপ্রিলে নির্ধারিত প্রত্যাশিত সময়ের আগেই রোগীদের অপারেশন ও অন্যান্য রুটিন সেবা শুরু করা হবে। এনএইচএস ইংল্যান্ড চলতি বছরের শুরুতে নির্ধারিত প্রত্যাশিত ৭৫ শতাংশের পরিবর্তে ৯০ শতাংশ রোগীর সার্জারী ও অন্যান্য পরিকল্পিত চিকিৎসা সেবা প্রদান করবে বলে জানিয়েছেন। উল্লেখ্য, যুক্তরাজ্যে করোনা মহামারি শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত ৪ লাখ কভিড রোগীর চিকিৎসা দিয়েছে এনএইচএস।